বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা , আশা করি সবাই ভালো আছেন !
তো আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয় টা নিয়ে কথা বলবো , তা হল , নাস্তিকদের একটি অভিযোগ তা হল “ইসলামে পুরুষদের 4টি বিবাহ এবং নারীদের ১টি বিবাহ দিয়ে ইসলাম নারীদের কে অধিকার কেটে নিয়েছে “
তো এটি নিয়ে আজকে কথা বলবো ।
আসলে এই জায়গায় নারীদের অধিকার হরণ করেছে নাকি তাদের ভালোর জন্যই এমন নিয়ম করা হয়েছে আসুন আমরা একটু দেখি !
১। আসলে আয়াতটিতে কি বলা হয়েছে ?
প্রথমত এটি নিয়ে আলোচনা করার আগে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি আয়াত দেখিয়ে দেই,
"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।"
{Sura Nisa 04 Number Ayat-Al Quran}
আসলে এখানে কি বলা হয়েছে সেটি কি ঢুকেছে নাস্তিকদের মাথায় ?
এখানে বলা হয়েছে তোমরা বিবাহ করতে পারো 2,3, অথবা 4 টি তবে হ্যা শর্ত আছে তা হল সবার ক্ষেত্রে ইনসাফ করতে হবে ।
যদি তা না পারো তাহলে তোমরা 1 টি বিবাহই তোমার জন্য যথেষ্ট !
যদি তা না পারো তাহলে তোমরা 1 টি বিবাহই তোমার জন্য যথেষ্ট !
তাহলে এখানে আল্লাহ খারাপ কি বলল ? কনডিশন তো একটি আছেই ! ইনসাফ করতে পারলে বিয়ে করলে সমস্যা কি ?
আমার কথাই চলবেনা , চলুন দলিল দেখায় ।
এই আয়াতের ব্যক্ষায় তাফসিরে জালালাইনের লেখক কি বলেছে জানেন ?
চলুন দেখি ।
”তোমরা প্রয়োজনে ১ থেকে ৪ টি বিবাহ করতে পারো । তবে চারের মদ্ধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে । উম্মতের কারোও জন্য এক সাথে ৪টির বেশি স্ত্রী রাখা জায়েজ নেই । আর যদি একাধিক স্ত্রী বিবাহ করলে তাদের ক্ষেত্রে ইনসাফ না করতে পারো , বা আশংকাবোধ করো , তাহলে একটিই তোমার জন্য যথেষ্ট ।”
প্রমান: তাফসিরে জালালাইন , খন্ড নাম্বার ১ , পৃষ্ঠা ৭৬৮ , ইসলামিয়া কুতুবখানা
প্রমান: তাফসিরে জালালাইন , খন্ড নাম্বার ১ , পৃষ্ঠা ৭৬৮ , ইসলামিয়া কুতুবখানা
এখানে কোথাও বলা হয়নাই , তোমরা নিজের ইচ্ছেমত , ৪টি বিবাহ করো । কিন্তু নাস্তিকরা এই জিনিষ গুলোই বিকৃতি ভাবে প্রচার বেশি করে থাকেন । যাতে মানুষ তাদের ধুমরিজালে পরে হতাশ হয়ে যান ।
আমার কথাই চলবেনা , চলুন দলিল দেখায় ।
এই আয়াতের ব্যক্ষায় তাফসিরে জালালাইনের লেখক কি বলেছে জানেন ?
চলুন দেখি ।
”তোমরা প্রয়োজনে ১ থেকে ৪ টি বিবাহ করতে পারো । তবে চারের মদ্ধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে । উম্মতের কারোও জন্য এক সাথে ৪টির বেশি স্ত্রী রাখা জায়েজ নেই । আর যদি একাধিক স্ত্রী বিবাহ করলে তাদের ক্ষেত্রে ইনসাফ না করতে পারো , বা আশংকাবোধ করো , তাহলে একটিই তোমার জন্য যথেষ্ট ।”
প্রমান: তাফসিরে জালালাইন , খন্ড নাম্বার ১ , পৃষ্ঠা ৭৬৮ , ইসলামিয়া কুতুবখানা
মাসআলা:
চার মাজহাবের ইমাম এবং , জমহুর ওলামায়ে উম্মত ঐক্যমত পোষণ করেন যে , এক সাথে চারের অধিক , মহিলা বিয়ে করা বা বিয়েতে রাখা নাজায়েজ ।প্রমান: তাফসিরে জালালাইন , খন্ড নাম্বার ১ , পৃষ্ঠা ৭৬৮ , ইসলামিয়া কুতুবখানা
এখানে কোথাও বলা হয়নাই , তোমরা নিজের ইচ্ছেমত , ৪টি বিবাহ করো । কিন্তু নাস্তিকরা এই জিনিষ গুলোই বিকৃতি ভাবে প্রচার বেশি করে থাকেন । যাতে মানুষ তাদের ধুমরিজালে পরে হতাশ হয়ে যান ।
{ইমাম নববী বলেছেন : ১টি বিবাহ করা এটি মুস্তাহাব
আল্লাহ পাক নিসা এর আয়াতে তাফসিরে আছে যদি ইনসাফ না করতে পারো , আর তবুও ২ বিবাহ করো , তাহলে কেয়ামতের দিন সে প্যারালাইসিস হবে ।
}
২। ৪টি বিবাহ কি যৌক্তিক ? এটি কেন দেওয়া হলো ?
যদি কেও আপত্তি করে যে 4 টি বিয়ের সুযোগ কেন দেওয়া হলো ?
তাহলে আমি তাদের বলবো ভাই এই আয়াতের তাফসির টি খুলুন আপনাদের খালি মাথায় এসব ঢুকবে না ।
কারণ , আপনাদের মস্তিস্ক শুধু বিরুধিতায় কাজ করে বলেই আমি জানি !
চলুন দেখে আসি এর কারণ হিসেবে কি বলা হয়েছে তাফসিরে :-
----------------------
একাধিক বিবাহ করার প্রয়োজনীয়তা:-
----------------------------------------------
(১) বিয়ের আসল উদ্দেশ্য হলো নিজের পবিত্রতা , দৃষ্টি রক্ষা করে চলা , লজ্জাস্থানের হেফাজত করা , সন্তান লাভ ও জেনা-ব্যাভিচার থেকে বেচে থাকা । অনেক সময় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ধনবান অবসর লোকও সমাজে পাওয়া যায় । তারা চারজন স্ক্রীর হক যথারীতি পালন করতে সক্ষম । তাই তাদের মাদ্ধ্যমে হাজারো গরিব মানুষের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা হয় । এমতঅবস্থায় যদি তারা দু-চারজন গরিব পরিবারের মহিলাকে বিয়ে করে নেয় তবে তাতে অসুবিধা কি ?
(১) বিয়ের আসল উদ্দেশ্য হলো নিজের পবিত্রতা , দৃষ্টি রক্ষা করে চলা , লজ্জাস্থানের হেফাজত করা , সন্তান লাভ ও জেনা-ব্যাভিচার থেকে বেচে থাকা । অনেক সময় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ধনবান অবসর লোকও সমাজে পাওয়া যায় । তারা চারজন স্ক্রীর হক যথারীতি পালন করতে সক্ষম । তাই তাদের মাদ্ধ্যমে হাজারো গরিব মানুষের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা হয় । এমতঅবস্থায় যদি তারা দু-চারজন গরিব পরিবারের মহিলাকে বিয়ে করে নেয় তবে তাতে অসুবিধা কি ?
(২) অনেক সময় , মহিলারা বিভিন্ন রোগব্যধি ও গর্ভধারণ প্রভৃতি কারণে স্বামীকে দেহদানের যোগ্য থাকেনা । এমতবস্থায় সুস্থ সবল ধনী স্বামীকে দিত্বীয় বিবাহ করা ছাড়া যেনা থেকে বাচার উপায় নেই ।
(৩) অনেক সময় মহিলা রোগের কারণে বা বন্ধ্যা হওয়ার কারণে সন্তান জন্ম দেওয়ার যোগ্য থাকেনা । অন্যদিকে স্বভাবগতভাবেই একজন পুরুষের সন্তান লাভের আগ্রহ অধিক । এমতবস্থায় বর্তমান স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেওয়া , অথবা কোন অভিযোগ তৈরি করে তালাক দেওয়া মোটেও উচিত নয় । (ইউরোপের দেশ গুলোতে বেশি হয়) ।
(৩) অনেক সময় মহিলা রোগের কারণে বা বন্ধ্যা হওয়ার কারণে সন্তান জন্ম দেওয়ার যোগ্য থাকেনা । অন্যদিকে স্বভাবগতভাবেই একজন পুরুষের সন্তান লাভের আগ্রহ অধিক । এমতবস্থায় বর্তমান স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেওয়া , অথবা কোন অভিযোগ তৈরি করে তালাক দেওয়া মোটেও উচিত নয় । (ইউরোপের দেশ গুলোতে বেশি হয়) ।
(৪) এছাড়াও পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বেশি , মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা মরে বেশি । অনেক পুরুষ জাহাজে যুদ্ধে , মারা যায় , , সুতরাং একাধিক বিবাহে অনুমুতি না দিলে অতিরিক্ত মহিলাদের জীবন বেচে যায় ।
প্রমান: তাফসিরে জালালাইন , খন্ড নাম্বার ১ , পৃষ্ঠা ৭৬৯ , ইসলামিয়া কুতুবখানা
এবার দেখুন , এক মহিলান একাধিক পুরুষ বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ:-
------------------------------------------------------------------------------------
(১) যদি একজন মহিলা একাধিক পুরুষের বিবাহ করে তাহলে প্রত্যেকটি পুরুষের যৌন চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব নয় ! কারন এতে শত্রুতা হতে পারে ।
(২) নারিরা একাধিক বিবাহ করে যদি তাহলে , তার পেটে সন্তান আসলে এটি কার সন্তান এটি নিয়ে বিরাট ঝগড়া হতে পারে , তখন নির্ধারণ করা কঠিন যে এটি কার সন্তান আর ভরণ পোষন কে দিবে !
(৩) পৃথিবিতে পুরুষের সংখ্যা কম , মহিলারা যদি একাধিক পুরুষ বিবাহ করা শুরু করে , শেষমেষ দেখা যাবে , অনেক মহিলাদের বিবাহ ই হবেনা , কারণ এমনিতেই পুরুষের সংখ্যা কম , তার উপরে মহিলারা একাধিক বিবাহ করতেছে ।
(৩) পৃথিবিতে পুরুষের সংখ্যা কম , মহিলারা যদি একাধিক পুরুষ বিবাহ করা শুরু করে , শেষমেষ দেখা যাবে , অনেক মহিলাদের বিবাহ ই হবেনা , কারণ এমনিতেই পুরুষের সংখ্যা কম , তার উপরে মহিলারা একাধিক বিবাহ করতেছে ।
তা’ফসিরে জালালাইন
769 পেইজ
খন্ড ১
সূরাহ নিসা- 03 , ইসলামিয়া কুতুবখানা ঢাকা
আল্লামা জালালুদ্দিন মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ মহল্লি (রহ:)
আল্লামা জালালুদ্দিন আবি বাকার আস সুয়্যুতি (রহ:)
আল্লামা জালালুদ্দিন আবি বাকার আস সুয়্যুতি (রহ:)
তো বন্ধুগণ রেফারেন্স সহ দিলাম সত্যই কিন্তু তাই একজন নারির , যদি একাধিক স্বামী এক সাথে রানিং থাকে খবর কিন্তু আছে যা আমরা উপর থেকেই বুঝতে পারলাম । সুতরাং নাস্তিকদের এমন আপত্তি তে কান দেওয়ার দরকার নেই ।


0 Comments