বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামুয়ালাইকুম ,
বন্ধুগণ , নাস্তিক ভাইরা প্রায়ই এই কথা গুলো বলে যে , মুহাম্মাদ সা: কতটা নিকূষ্ট হলে পরে ৬ বছরের শিশু কে বিবাহ করতে পারে ?!!
মারাত্মক কথা !
এইরকম প্রশ্ন শুনলে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে যে কোন মুসলমান একটু চিন্তায় পরে যাবে যে আসলে এটার উত্তর কি দেওয়া যেতে পারে !!
এইরকম প্রশ্ন শুনলে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে যে কোন মুসলমান একটু চিন্তায় পরে যাবে যে আসলে এটার উত্তর কি দেওয়া যেতে পারে !!
দু:খের বিষয় হলো অনেক মুসলমান এতে ঈমান ও হারিয়ে ফেলেছে নাস্তিকদের এই সমস্ত অযৌক্তিকি কথা বলার কারনে ।
"রাসূল সা: এর স্ত্রিগনের মধ্য মা আয়েশা রা: ই সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত ব্যাক্তি হতে পারেন ।
এর অনেকগুলো কারনও আছে ।"
সিয়ারু আলাম আন নুবালা তে 3/140-141 এ বিস্তারিত ভাবে বর্ণণা করা হয়েছে ।
আয়েশা রা: তিনিই একমাত্র রাসূল সা: এর কুমারী স্ত্রি , তার নির্দেশনা ঘোষণা করে কোরআন এর আয়াত ওও নাযিল হয়েছে ।
এরকম অনেক গুলো কারন দেওয়া হয়েছে সেখানে । তাহলে চিন্তা করুন রাসূল সা: এর স্ত্রি- গন দের ভিতরে মা আয়েশা রা: কতটা উচূ মর্যদার ছিলেন ।
এইগুলো খন্ডন করার জন্য , আমি একই প্রশ্নের উত্তর কয়েকটি , প্রশ্নের উত্তরের মাদ্ধ্যমে দিয়ে দিবো , তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে , যে আসলে প্রকৃত অর্থে মা আয়েশা রা: , এর বিবাহ , আসলেই কি অনৈতিক না নৈতিক !
প্রথমেই এটি জেনে রাখা ভালো যে , মা আয়িশা রা: এর বয়স সমপর্কে ইখতিলাফ রয়েছে । এর কারণ কি ?
এর কারণ হলো , আরবদের স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর , তারা জন্মের সাল বা বয়স , সঠিক ভাবে লিখে রাখতো না । নিজেদের চিন্তার উপরেই অটল ছিল । এটার প্রমান কি ?
আরবদের স্মৃতি শক্তি যে ভালো ছিল তার প্রমান কি?
তার প্রমান হল ,
ইমাম মালিক তিনি বলেন:
তখনকার লোক লিখিত অভ্যস্ত ছিল না , তাহারা সাধারণত মুখস্থ করিতেই অভ্যস্ত ছিলেন । তাহাদের কেহ কোন জিনিষ লিখিয়া লইলেও কেবল মুখস্ত করার উদ্দেশ্যেই লিখিতেন , আর মুখস্থ হইয়া গেলে পর উহাকে মুছিয়া ফেলিতেন ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৭
প্রমান ২ : জামেউল বায়ানুল ইলম , খন্ড : ১ , পৃষ্ঠা: ৬৪
আরেকটি প্রমান নিন:-
মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন তাবেয়ী সমপর্কে বলা হয়েছে যে , প্রথমে হাদীস লিখিয়া লইয়া উহা মুখস্ত করা এবং মুখস্থ হওয়ার পর লিখিত জিনিষ বিনষ্ট করাই ছিল তাহাদের কাজ ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৭
প্রমান ২: তাবাকাতে ইবনে সা’দ , খন্ড: ৫ পৃষ্ঠা: ১০৯
এছাড়াও ঐতিহাসিক আসাকির মুহাদ্দিস ইসমাইল ইবনে উবায়দা বলেছেন:
আমরা যেভাবে কোরআন মুখস্ত করি , সেভাবে হাদীসকেও মুখস্ত করা আমাদের কর্তব্য ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৮
প্রমান ২: তারিখুদ দামেস্ক , খন্ড : ২ , পৃষ্ঠা : ১৬
{{{{{
হাদীস সংকলনের ইতিহাস , পৃষ্ঠা ২২৯
আরও প্রমান পত্র :
তাহযিবুত তাহজিব:
( খন্ড - ৪ পৃষ্ঠা , ১৭৩ )
( খন্ড - ৪ পৃষ্ঠা , ১৭২ )
তারিখুল কাবির লিলবুখারী , পৃষ্ঠা : ৪
}}}}}
{ হাদীস সংকলনের ইতিহাস , পৃষ্ঠা ১০৯
আলহাদীসু ওয়াল মুহাদ্দিসুন ( পৃষ্ঠা , ৪৯ )
তাবেয়ী কাতাদাহ এ বিষয়ে একমত , (যুরকনিী , ৫নং খন্ড , পৃষ্ঠা ৪৯৫)
}
এরকম আরও অনেক প্রমান হাদীস সংকলনের ইতিহাস বইয়ে দেওয়া আছে ।
এখন কেও বলতে পারে , যে , আরবদের স্মৃতি শক্তি প্রখর তাহলে , তো , মা আয়িশা রা: বয়স নিয়ে ইখতিলাফ থাকার কথা নয় ।
এর জবাবে আমি বলতে যায় , সেসময়ের মানুষ , জন্মশন , টুকে রাখা বা মুখস্ত করে রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করতো না । তার বাস্তব প্রমান দেখা যায় , আমাদের বিশ্বনবী সা: এর জন্মসন নিয়েই ইখতিলাফ আছে । এখনকার জামানায় অনেকে জন্মদিন কে কেন্দ্র করে অনেক উতসব , বা অনেক কিছুই করে বা অনুষ্ঠান করে যায় কারণে , জন্মসন , মনে রাখা বা লিখে রাখা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় , কিন্তু সেজামানায় এত প্রয়োজন ছিল না ।
আর স্মৃতি শক্তি প্রখর থাকা মানেই কিন্তু এই নয় যে , সে কোন জিনিষ ভুলবে না । এমন টা মনে করা বোকামি । স্মৃতি শক্তি প্রখর থাকা সত্বেও ভুল হতে পারে ।
তার বাস্তব প্রমান সাহাবীদের জামানাতেই আমরা দেখি ।
সাহাবীরা রা: এর কোন হাদীস শোনার পর তা বর্ণনা করতে অত্যান্ত ভয় পেতেন । এবং তারা একটি হাদীস শোনার পর পুনরায় অন্যান্য সাহাবীদের মাঝে তা বলে ভেরিফাই করিয়ে নিতেন ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ১৫২
সাহাবীরা তাদের প্রখর স্বরণশক্তি থাকা সত্বেও তারা অত্যান্ত ভয় পেতেন হাদীস বর্ণনা করতে। তাহলে বুজুন , স্বরণশক্তি থাকার মানে কিন্তু এই নয় , যে , তাদের ভুল হবেনা ।
যেমন:
আবু যুবায়র রা: আদৌ কোন হাদীস বর্ণনা করতেন না । একদিন হযরত আব্দুল্লাহ রা: তাহাকে প্রশ্ন করলেন , আপনি অন্যান্য সাহাবীদের মত হাদীস বর্ণনা করেন না কেন ? তিনি বললেন : রাসূলের কথার সাথে যদি আমার কথা মিশ্রত হয় তাহলে আমি জাহান্নামে চলে যাবো । এই ভয়ে আমি হাদীস বর্ণনা করিনা ।
আবু দাউদ , অধ্যায়:- কিতাবুল ইলম
এরকম অনেক সাহাবী হাদীস বর্ণনায় সর্তকতা অবলম্বন করতেন যার প্রমান
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ১৫২ - ১৫৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অনেক প্রমান বিদ্যামান ।
তাহলে এর দ্বারা প্রমানিত হলো , স্বরনশক্তি থাকা মানে এই নয় , যে ভুল হবেনা । সাহাবীরাও ভুল হওয়ার আশাংকা করতেন এই জন্যই তারা Safe থাকার চেষ্টা করতেন । তবে তার মানে এই নয় যে , তারা , হাদীস বর্ণনা করতে না , ! বিষয়টি এমন , যে হাদীস বর্ণনা করতেন তবে তা অত্যান্ত সাবধানতার সহীত ।
কাজেই এরকম মনে করা মুর্খামি যে , মা আয়িশা এর জন্মবয়স সেসময় , মানুষ লিখে রাখতো , বা , খুব একটা যত্ন নিত জন্ম বয়স লিখার উপরে । সুতরাং , মা আয়িশা , এর নয় বছর বয়সে বিবাহ এর বিষয়টি কে কেন্দ্র করে চুড়ান্ত ভাবে বলা উচিত নয় , যে রাসুল সা: শিশুর সঙ্গে সহবাস করেছেন ।
তো যাইহোক , এবার আমরা মা আয়িমা রা: এর বয়স সমপর্কে ইখতিলাফ , রেওয়ায়েত গুলো দেখবো ।
মুহাম্মাদ সা: যখন মা আয়িশা রা: এর সঙ্গে দৈহিক সমপর্কে লিপ্ত হন , তখন , তার বয়স ছিল ১৭-১৮ বছর :
প্রমান দেখুন :
মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে আয়েশা (রা.)-এর বিয়ের সময় তাঁর বয়স কত ছিল, ইতিহাসবিদদের মধ্যে এ নিয়ে মতানৈক্য দেখা যায়। একদল ইতিহাসবিদের অভিমত হলো, বিয়ের সময় আয়েশা (রা.)-এর বয়স ছিল ১৪ বছর। আর যখন তাঁর সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর দৈহিক সম্পর্ক হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ থেকে ১৮ বছর। (দেখুন—আরবি পত্রিকা ‘আশ্ শিরকুল আওসাত’ : ৬-৯-২০০৮; আরবি সাহিত্যিক শওকি জইফের গ্রন্থ ‘মুহাম্মদ খাতামুল মুরসালীন’ : পৃষ্ঠা ১৭১)
Live See:>>
এরপর , আরেকটি বর্ণনা এসেছে , এবং বর্ণনা টি সহীহ:
নবী করিম (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের তিন বছর আগে খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল হয়। তারপর দুই বছর বা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আয়েশা (রা.)-কে বিয়ে করেন। তখন তিনি ছিলেন ৬ বছরের বালিকা। তারপর ৯ বছর বয়সে বাসর যাপন করেন।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৬) তাহওহিদ প্রকাশনি ,
হাদীস শরিফ থেকে আমরা জানতে পারি আয়িশা রা: কে ৬ বছর বয়সে বিবাহ করা হয় এবং ৯ বছর বয়সে , সহবাস করেন , যেমন হাদীস শরিফে এসেছে :
মজার বিষয় হলো নাস্তিক রা এই হাদীস দিয়ে , যা ক্লেইম করে তা হলো , ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে ।
তাহলে আমরা দেখবো , আরবী তে যেই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার অর্থ কি ? এখানে বালিকা এর আরবী দেওয়া হয়েছে بنة , যার উচ্চারণ , বিনতুন , ! আর এটার মানে কিন্তু শিশু নয় ! বয়স ৯ হলেও শিশু নয় । এর মানে বয়সের বিষয় নিয়ে আগেই বলা হয়েছে এটি একটি অনুমানযোগ্য ।
নাস্তিকদের কে মরা পর্যন্ত চ্যালেন্জ করা যেতে পারে , যে , বিনতুন , এই শব্দের অর্থ তোমরা শিশু বের করো । উত্তর : তারা পারবেনা ।
বিনতুন অর্থ কি , ? চলুন সেটা জেনে আসি ।
আপনারা যদি , আরবী ডিকশনারী দেখেন , তাহলে সেখানে দেখবেন ,
বিনতুন অর্থ: কন্যা বা মেয়ে ।
প্রমান: আল-মু’জামুল ওয়াফী , রিয়াদ প্রকাশনী , ডক্টর ফজলুর রহমান , পৃষ্ঠা ২৩৩
নাস্তিকদের কে চ্যালেন্জ থাকলো , এই শব্দটি যেহেতু হাদীসে ব্যবহার হয়েছে সেহেতু এই শব্দের অর্থ আপনারা কি শিশু দেখাতে পারবেন কোথাও ?
এক জায়গাতেও পারবেন না । আপনারা যেই দাবী করেন শিশুকে ধর্ষণ করেছে , কথাটি সত্য নয় ।
এবার আসুন আমরা দেখবো , কোন শব্দ ব্যবহার করলে , বোঝা যাবে যে , রাসুল সা: শিশুকে ধর্ষণ করেছেন ।
আরবীতে طفل এর অর্থ হলো : শিশু , বাচ্চা , শাবক
প্রমান: আল-মু’জামুল ওয়াফী , রিয়াদ প্রকাশনী , ডক্টর ফজলুর রহমান , পৃষ্ঠা ৬৬৬
তো নাস্তিকদের কাছে আমার আবেদন , এই হাদীস থেকে যদি এই শব্দ বের করেন , তাহলে বুঝবো , শিশু কে ধর্ষণ করা হয়েছে যদি না বের করতে পারেন , তাহলে কিসের ভিত্তিতে দাবী করতে পারেন আপনি যে , মুহাম্মাদ সা: শিশুকে ধর্ষন করেছে ?
কন্যা কাকে বলে ?
অবশ্যই , শিশুকে নয়! আপনি দেখবেন . বিনতুন এটারই ইংলিশ ব্যবহার করা হয় , Daughter !
আর শিশু তে ব্যবহার করা হয় , infant , Baby ইত্যাদি !!!
তাহলে আশা করি এটি ক্লিয়ার যে , কন্যা এবং শিশু দুটো এক জিনিষ নয় । সুতরাং মা আয়িশা রা:
এর সাথে সহবাস হয় , কন্যা থাকা অবস্থায় , মোটেও শিশু নয়।
আর শিশু থাকা অবস্থায় , যদি , তার সাথে সহবাস করা হত , সেসময় অবশ্যই মা আয়িশা রা: এর পক্ষে সহবাস
কষ্টকর হত ! কিন্তু নাস্তিকরা কি প্রমান করতে পারবে যে , মা আয়িশা রা: এর পক্ষে সহবাস কষ্টকর ছিল ?
পারবেনা , কারণ , মা আয়িশা রা: সেসময় শিশু ছিলেন না । কন্যা ছিলেন ।
এবং , মজার বিষয় হলো , মা আয়েশা রা: নিজেই বলছেন :
“ একজনমেয়ে যখন নয় বছরে উপনীত হয়ে যায়, তখন সে মহিলা হয়ে যায়।”
প্রমান: তিরমিযি , কিতাবুন নিকাহ ,
Al-Kirmani, Harb bin Isma’il, Masa’il (Al-Taharah wa Al-Salah), Ed. Muhammad bin Abdullah Al-Sari‘ (Beirut: Al-Rayan Publishers, 2013) 587, No. 1289; see also al-Tirmidhi, al-Sunan/ al-Jami’ al-Kabir, (Riyadh: Maktaba Dar-us-Salam, 2007) Vol.2, 480 (under hadith 1109); al-Baihaqi, Abu Bakr, Sunan al-Kubra (Beirut: Dar al-Kotob al-‘Ilmiya, 2003) Vol.1, 476, where it is mentioned without isnad (chain of narrators); Prominent Hanbali scholars have mentioned that Ahmad bin Hanbal reported this statement of ‘Aisha with isnad. See, Al-Maqdisi, Ibn Qudama, al-Mughni, (Cairo: Maktaba al-Qahira, 1968) Vol.7, 42; Ibn ‘Abd al-Hadi, Shams al-Din, Tanqih al-Tahqiq fi Ahadith al-Ta’liq, (Riyadh: Adwa’ al-Salaf, 2007) Vol.4, 324. It is, however, not found in Musnad and other well-known works of Ahmad bin Hanbal. Al-Albani too was unable to trace an isnad for this, see his Irwa’ al-Ghalil fi Takhrij Ahadith al-Manar al-Sabil, (Beirut: Maktab al-Islami, 1985) Vol.6, 229; Al-Kirmani’s work which, as quoted here, includes an isnad for this report, though not through Ahmad b. Hanbal, was first published in 2013 and was inaccessible to al-Albani (d. 1999).
অনেকে বলে থাকে , মা আয়িশা রা: সেসময় , পুতুল নিয়ে খেলেছে , তাতে বুঝা যায় , সে শিশু ছিল ।
কিন্তু এই কথাটি সমপূর্ণ ভুল ।
এই জন্যই ফাতহুল বারী লেখক ইবনে হাজার আসকালানি রহ: বলেন:
সেসময় , আরব বিশ্বে অনেক পরিপক্ক নারীও এটি নিয়ে খেলা করতো তাদের সংসারের পাশাপাশি ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২০৫
উপরে কি বুঝলেন ? দীর্ঘ নয় বছর , তিনি রাসুল সা: এর খেদমতে থাকার কারণে , আমরা তার থেকে অনেক হাদীস পেয়েছি এবং , তিনিই তাদের ভিতরে একজন যারা হাদীস বর্ণনায় উচ্চ স্তরে আছে ।
তিনি মোট হাদীস বর্ণনা করেছেন:
২২১০ টি (বদরুদ্দিন আঈনী এর বর্ণনা)
তাহলে নাস্তিকদের কাছে প্রশ্ন , মা আয়িশা রা: তিনি যদি ৯ বছর বয়সে না বিবাহ করতেন এত হাদীস তিনি কিভাবে রাখতে পারতেন ?
এতেই প্রমাণিত , এটি অন্যান্ত দ্বীন রক্ষার জন্য ভালো একটি মাধ্যম । তার মাদ্ধম্যে উম্মাহ আজকে হাজার হাজার হাদীস পেয়েছে ।
এবং এতেই প্রমানিত হয় , তিনি বাচ্ছা ছিলেন না । অবশ্যই তিনি পরিপক্ক নারী ছিলেন , যার কারণেই এত হাদীস তার পক্ষে আয়ত্ব করা সম্ভব হয়েছে ।
এবং শুধু তাই নয় , মা আয়িশা রা: এর মত ফকীহ , হাদীসপন্ডিত্ব , মুফাসসির , আরেকজন ছিলনা , !
প্রমাণ: আসমাউর রিজাল , পৃষ্ঠা
রাসুল সা: নিজে বলেছেন , যদি তোমাদের জামানা তোমাদের যুগে যদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তবে তোমরা ভালোটাই গ্রহণ করবে ।
প্রমাণ: MK Hassan ভাই এর ভিডিও(dropbox Link)
এর দ্বারা কি বুঝলেন ? আপনি যদি দেখেন , ৯ বছর বয়সে বিবাহ করার কারণে , কোন সমস্যা হচ্ছে , অবশ্যই তা বাদ দিয়ে দিন । আর রাসুল সা: ৯ বছর বয়সে বিবাহ ফরজ করে দেন নি ।
মা আয়েশা রা: এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে , সাহাবীরা কিছু বুঝতে কষ্টবোধ করলে মা আয়েশা রা: এর কাছে আসতেন ।
জামে আত তিরমিযি (৩৮১৫ নং হাদীস) , বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার , ঢাকা
মা আয়েশা রা: এবং তার পিতা আবু বকর রা: ছিল রাসুল সা: এর প্রিয় ব্যক্তি ।
জামে আত তিরমিযি (৩৮১৮ নং হাদীস) , বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার , ঢাকা
এরকম অনেক গুলো কারন দেওয়া হয়েছে সেখানে । তাহলে চিন্তা করুন রাসূল সা: এর স্ত্রি- গন দের ভিতরে মা আয়েশা রা: কতটা উচূ মর্যদার ছিলেন ।
এইগুলো খন্ডন করার জন্য , আমি একই প্রশ্নের উত্তর কয়েকটি , প্রশ্নের উত্তরের মাদ্ধ্যমে দিয়ে দিবো , তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে , যে আসলে প্রকৃত অর্থে মা আয়েশা রা: , এর বিবাহ , আসলেই কি অনৈতিক না নৈতিক !
(১) মা আয়েশা রা: এর বয়স কত ছিল যখন তিনি বিবাহ করেন ? এবং সহবাস করেন ?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আমরা কিছু বিষয় আলোচনা করা উচিত বলে আমরা মনে করি ।প্রথমেই এটি জেনে রাখা ভালো যে , মা আয়িশা রা: এর বয়স সমপর্কে ইখতিলাফ রয়েছে । এর কারণ কি ?
এর কারণ হলো , আরবদের স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর , তারা জন্মের সাল বা বয়স , সঠিক ভাবে লিখে রাখতো না । নিজেদের চিন্তার উপরেই অটল ছিল । এটার প্রমান কি ?
আরবদের স্মৃতি শক্তি যে ভালো ছিল তার প্রমান কি?
তার প্রমান হল ,
ইমাম মালিক তিনি বলেন:
তখনকার লোক লিখিত অভ্যস্ত ছিল না , তাহারা সাধারণত মুখস্থ করিতেই অভ্যস্ত ছিলেন । তাহাদের কেহ কোন জিনিষ লিখিয়া লইলেও কেবল মুখস্ত করার উদ্দেশ্যেই লিখিতেন , আর মুখস্থ হইয়া গেলে পর উহাকে মুছিয়া ফেলিতেন ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৭
প্রমান ২ : জামেউল বায়ানুল ইলম , খন্ড : ১ , পৃষ্ঠা: ৬৪
আরেকটি প্রমান নিন:-
মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন তাবেয়ী সমপর্কে বলা হয়েছে যে , প্রথমে হাদীস লিখিয়া লইয়া উহা মুখস্ত করা এবং মুখস্থ হওয়ার পর লিখিত জিনিষ বিনষ্ট করাই ছিল তাহাদের কাজ ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৭
প্রমান ২: তাবাকাতে ইবনে সা’দ , খন্ড: ৫ পৃষ্ঠা: ১০৯
এছাড়াও ঐতিহাসিক আসাকির মুহাদ্দিস ইসমাইল ইবনে উবায়দা বলেছেন:
আমরা যেভাবে কোরআন মুখস্ত করি , সেভাবে হাদীসকেও মুখস্ত করা আমাদের কর্তব্য ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৮
প্রমান ২: তারিখুদ দামেস্ক , খন্ড : ২ , পৃষ্ঠা : ১৬
{{{{{
হাদীস সংকলনের ইতিহাস , পৃষ্ঠা ২২৯
আরও প্রমান পত্র :
তাহযিবুত তাহজিব:
( খন্ড - ৪ পৃষ্ঠা , ১৭৩ )
( খন্ড - ৪ পৃষ্ঠা , ১৭২ )
তারিখুল কাবির লিলবুখারী , পৃষ্ঠা : ৪
}}}}}
{ হাদীস সংকলনের ইতিহাস , পৃষ্ঠা ১০৯
আলহাদীসু ওয়াল মুহাদ্দিসুন ( পৃষ্ঠা , ৪৯ )
তাবেয়ী কাতাদাহ এ বিষয়ে একমত , (যুরকনিী , ৫নং খন্ড , পৃষ্ঠা ৪৯৫)
}
এরকম আরও অনেক প্রমান হাদীস সংকলনের ইতিহাস বইয়ে দেওয়া আছে ।
এখন কেও বলতে পারে , যে , আরবদের স্মৃতি শক্তি প্রখর তাহলে , তো , মা আয়িশা রা: বয়স নিয়ে ইখতিলাফ থাকার কথা নয় ।
এর জবাবে আমি বলতে যায় , সেসময়ের মানুষ , জন্মশন , টুকে রাখা বা মুখস্ত করে রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করতো না । তার বাস্তব প্রমান দেখা যায় , আমাদের বিশ্বনবী সা: এর জন্মসন নিয়েই ইখতিলাফ আছে । এখনকার জামানায় অনেকে জন্মদিন কে কেন্দ্র করে অনেক উতসব , বা অনেক কিছুই করে বা অনুষ্ঠান করে যায় কারণে , জন্মসন , মনে রাখা বা লিখে রাখা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় , কিন্তু সেজামানায় এত প্রয়োজন ছিল না ।
আর স্মৃতি শক্তি প্রখর থাকা মানেই কিন্তু এই নয় যে , সে কোন জিনিষ ভুলবে না । এমন টা মনে করা বোকামি । স্মৃতি শক্তি প্রখর থাকা সত্বেও ভুল হতে পারে ।
তার বাস্তব প্রমান সাহাবীদের জামানাতেই আমরা দেখি ।
সাহাবীরা রা: এর কোন হাদীস শোনার পর তা বর্ণনা করতে অত্যান্ত ভয় পেতেন । এবং তারা একটি হাদীস শোনার পর পুনরায় অন্যান্য সাহাবীদের মাঝে তা বলে ভেরিফাই করিয়ে নিতেন ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ১৫২
সাহাবীরা তাদের প্রখর স্বরণশক্তি থাকা সত্বেও তারা অত্যান্ত ভয় পেতেন হাদীস বর্ণনা করতে। তাহলে বুজুন , স্বরণশক্তি থাকার মানে কিন্তু এই নয় , যে , তাদের ভুল হবেনা ।
যেমন:
আবু যুবায়র রা: আদৌ কোন হাদীস বর্ণনা করতেন না । একদিন হযরত আব্দুল্লাহ রা: তাহাকে প্রশ্ন করলেন , আপনি অন্যান্য সাহাবীদের মত হাদীস বর্ণনা করেন না কেন ? তিনি বললেন : রাসূলের কথার সাথে যদি আমার কথা মিশ্রত হয় তাহলে আমি জাহান্নামে চলে যাবো । এই ভয়ে আমি হাদীস বর্ণনা করিনা ।
আবু দাউদ , অধ্যায়:- কিতাবুল ইলম
এরকম অনেক সাহাবী হাদীস বর্ণনায় সর্তকতা অবলম্বন করতেন যার প্রমান
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ১৫২ - ১৫৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অনেক প্রমান বিদ্যামান ।
তাহলে এর দ্বারা প্রমানিত হলো , স্বরনশক্তি থাকা মানে এই নয় , যে ভুল হবেনা । সাহাবীরাও ভুল হওয়ার আশাংকা করতেন এই জন্যই তারা Safe থাকার চেষ্টা করতেন । তবে তার মানে এই নয় যে , তারা , হাদীস বর্ণনা করতে না , ! বিষয়টি এমন , যে হাদীস বর্ণনা করতেন তবে তা অত্যান্ত সাবধানতার সহীত ।
কাজেই এরকম মনে করা মুর্খামি যে , মা আয়িশা এর জন্মবয়স সেসময় , মানুষ লিখে রাখতো , বা , খুব একটা যত্ন নিত জন্ম বয়স লিখার উপরে । সুতরাং , মা আয়িশা , এর নয় বছর বয়সে বিবাহ এর বিষয়টি কে কেন্দ্র করে চুড়ান্ত ভাবে বলা উচিত নয় , যে রাসুল সা: শিশুর সঙ্গে সহবাস করেছেন ।
তো যাইহোক , এবার আমরা মা আয়িমা রা: এর বয়স সমপর্কে ইখতিলাফ , রেওয়ায়েত গুলো দেখবো ।
মুহাম্মাদ সা: যখন মা আয়িশা রা: এর সঙ্গে দৈহিক সমপর্কে লিপ্ত হন , তখন , তার বয়স ছিল ১৭-১৮ বছর :
প্রমান দেখুন :
মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে আয়েশা (রা.)-এর বিয়ের সময় তাঁর বয়স কত ছিল, ইতিহাসবিদদের মধ্যে এ নিয়ে মতানৈক্য দেখা যায়। একদল ইতিহাসবিদের অভিমত হলো, বিয়ের সময় আয়েশা (রা.)-এর বয়স ছিল ১৪ বছর। আর যখন তাঁর সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর দৈহিক সম্পর্ক হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ থেকে ১৮ বছর। (দেখুন—আরবি পত্রিকা ‘আশ্ শিরকুল আওসাত’ : ৬-৯-২০০৮; আরবি সাহিত্যিক শওকি জইফের গ্রন্থ ‘মুহাম্মদ খাতামুল মুরসালীন’ : পৃষ্ঠা ১৭১)
Live See:>>
এরপর , আরেকটি বর্ণনা এসেছে , এবং বর্ণনা টি সহীহ:
নবী করিম (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের তিন বছর আগে খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল হয়। তারপর দুই বছর বা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আয়েশা (রা.)-কে বিয়ে করেন। তখন তিনি ছিলেন ৬ বছরের বালিকা। তারপর ৯ বছর বয়সে বাসর যাপন করেন।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৬) তাহওহিদ প্রকাশনি ,
হাদীস শরিফ থেকে আমরা জানতে পারি আয়িশা রা: কে ৬ বছর বয়সে বিবাহ করা হয় এবং ৯ বছর বয়সে , সহবাস করেন , যেমন হাদীস শরিফে এসেছে :
এখানে আরেকটি কথা উল্লেখ্যযোগ্য মা আয়িশা রা: কে নয় বছর বয়সেই মুহাম্মাদ সা: এর হাতে তুলে দেওয়া হয় তার প্রমান :-
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৫) তাহওহিদ প্রকাশনি ,
মজার বিষয় হলো নাস্তিক রা এই হাদীস দিয়ে , যা ক্লেইম করে তা হলো , ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে ।
তাহলে আমরা দেখবো , আরবী তে যেই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার অর্থ কি ? এখানে বালিকা এর আরবী দেওয়া হয়েছে بنة , যার উচ্চারণ , বিনতুন , ! আর এটার মানে কিন্তু শিশু নয় ! বয়স ৯ হলেও শিশু নয় । এর মানে বয়সের বিষয় নিয়ে আগেই বলা হয়েছে এটি একটি অনুমানযোগ্য ।
নাস্তিকদের কে মরা পর্যন্ত চ্যালেন্জ করা যেতে পারে , যে , বিনতুন , এই শব্দের অর্থ তোমরা শিশু বের করো । উত্তর : তারা পারবেনা ।
বিনতুন অর্থ কি , ? চলুন সেটা জেনে আসি ।
আপনারা যদি , আরবী ডিকশনারী দেখেন , তাহলে সেখানে দেখবেন ,
বিনতুন অর্থ: কন্যা বা মেয়ে ।
প্রমান: আল-মু’জামুল ওয়াফী , রিয়াদ প্রকাশনী , ডক্টর ফজলুর রহমান , পৃষ্ঠা ২৩৩
নাস্তিকদের কে চ্যালেন্জ থাকলো , এই শব্দটি যেহেতু হাদীসে ব্যবহার হয়েছে সেহেতু এই শব্দের অর্থ আপনারা কি শিশু দেখাতে পারবেন কোথাও ?
এক জায়গাতেও পারবেন না । আপনারা যেই দাবী করেন শিশুকে ধর্ষণ করেছে , কথাটি সত্য নয় ।
এবার আসুন আমরা দেখবো , কোন শব্দ ব্যবহার করলে , বোঝা যাবে যে , রাসুল সা: শিশুকে ধর্ষণ করেছেন ।
আরবীতে طفل এর অর্থ হলো : শিশু , বাচ্চা , শাবক
প্রমান: আল-মু’জামুল ওয়াফী , রিয়াদ প্রকাশনী , ডক্টর ফজলুর রহমান , পৃষ্ঠা ৬৬৬
তো নাস্তিকদের কাছে আমার আবেদন , এই হাদীস থেকে যদি এই শব্দ বের করেন , তাহলে বুঝবো , শিশু কে ধর্ষণ করা হয়েছে যদি না বের করতে পারেন , তাহলে কিসের ভিত্তিতে দাবী করতে পারেন আপনি যে , মুহাম্মাদ সা: শিশুকে ধর্ষন করেছে ?
কন্যা কাকে বলে ?
অবশ্যই , শিশুকে নয়! আপনি দেখবেন . বিনতুন এটারই ইংলিশ ব্যবহার করা হয় , Daughter !
আর শিশু তে ব্যবহার করা হয় , infant , Baby ইত্যাদি !!!
তাহলে আশা করি এটি ক্লিয়ার যে , কন্যা এবং শিশু দুটো এক জিনিষ নয় । সুতরাং মা আয়িশা রা:
এর সাথে সহবাস হয় , কন্যা থাকা অবস্থায় , মোটেও শিশু নয়।
আর শিশু থাকা অবস্থায় , যদি , তার সাথে সহবাস করা হত , সেসময় অবশ্যই মা আয়িশা রা: এর পক্ষে সহবাস
কষ্টকর হত ! কিন্তু নাস্তিকরা কি প্রমান করতে পারবে যে , মা আয়িশা রা: এর পক্ষে সহবাস কষ্টকর ছিল ?
পারবেনা , কারণ , মা আয়িশা রা: সেসময় শিশু ছিলেন না । কন্যা ছিলেন ।
এবং , মজার বিষয় হলো , মা আয়েশা রা: নিজেই বলছেন :
“ একজনমেয়ে যখন নয় বছরে উপনীত হয়ে যায়, তখন সে মহিলা হয়ে যায়।”
প্রমান: তিরমিযি , কিতাবুন নিকাহ ,
Al-Kirmani, Harb bin Isma’il, Masa’il (Al-Taharah wa Al-Salah), Ed. Muhammad bin Abdullah Al-Sari‘ (Beirut: Al-Rayan Publishers, 2013) 587, No. 1289; see also al-Tirmidhi, al-Sunan/ al-Jami’ al-Kabir, (Riyadh: Maktaba Dar-us-Salam, 2007) Vol.2, 480 (under hadith 1109); al-Baihaqi, Abu Bakr, Sunan al-Kubra (Beirut: Dar al-Kotob al-‘Ilmiya, 2003) Vol.1, 476, where it is mentioned without isnad (chain of narrators); Prominent Hanbali scholars have mentioned that Ahmad bin Hanbal reported this statement of ‘Aisha with isnad. See, Al-Maqdisi, Ibn Qudama, al-Mughni, (Cairo: Maktaba al-Qahira, 1968) Vol.7, 42; Ibn ‘Abd al-Hadi, Shams al-Din, Tanqih al-Tahqiq fi Ahadith al-Ta’liq, (Riyadh: Adwa’ al-Salaf, 2007) Vol.4, 324. It is, however, not found in Musnad and other well-known works of Ahmad bin Hanbal. Al-Albani too was unable to trace an isnad for this, see his Irwa’ al-Ghalil fi Takhrij Ahadith al-Manar al-Sabil, (Beirut: Maktab al-Islami, 1985) Vol.6, 229; Al-Kirmani’s work which, as quoted here, includes an isnad for this report, though not through Ahmad b. Hanbal, was first published in 2013 and was inaccessible to al-Albani (d. 1999).
Live Check 2 এইখানে ৪ নং পয়েন্ট লক্ষ্যযোজ্ঞ্য!!
এর দ্বারা প্রমাণিত , হয় , সেসময় , মেয়েরা , দ্রুতই , বিবাহের উপযুক্ত হতেন ।
এখানে মা আয়িশা রা: নিজেকেই ইংগিত করেছেন , তিনি অবশ্যই সেসময় বিবাহ উপযুক্ত ছিলেন ।
সুতরা: , নাস্তিক বা ইসলামবিদ্বেশী যেটাই বলিনা কেন , তারা এই বিষয়ে যেই ক্লেইম করে , যে , ৯ বছর বয়সে সহবাস করে , শিশুধর্ষণ করেছে এটা সত্য নয় ।
২। ৬ বছর বয়সে সেসময় স্বামীর সংসার উচিত ছিল ?
মজার বিষয় হলো , নাস্তিক রা এই সময় কিছু মহাসত্য এড়িয়ে যায় ।
মা আয়েশা রা: এর বিবাহ কিন্তু , আগেও ঠিক হয়েছিল , জুবাইর ইবনে মুতিম এর সাথে engaged ছিলেন , ! দলিল কি ?
প্রমান: মুসনাদে আহমাদ, ষষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ ২১১
এরপর কি হলো ? এরপর , হযরত আবু বকর রা: ইসলাম কবুল করার কারণে , সেই বিবাহ , মুহাম্মাদ সা: এর সংঙ্গে হয় ।
তাহলে এইখানে , বোঝা যায় সেসময় কালচার এটি ছিল ।
তাহলে এইখানে , বোঝা যায় সেসময় কালচার এটি ছিল ।
মজার বিষয় হলো , এই একই জিনিষ টার কিছু ইংগিত , আমরা বর্তমান বিশ্বে তাকালেও দেখতে পাই ।
বর্তমান বিশ্বে বিবাহ বয়স
মজার বিষয় হলো , এখনোও অনেক জায়গায় বিয়ের বয়সই নির্ধারণ করা নেই , যে কোন বয়সে , সে বিবাহ করতে পারবে ।
যেমন: আফ্রিকা মহাদেশের , { Djibouti , এরপর , Benin , এরপর Libya , Mauritania , Morocco , Namibia , South Africa , ( With judicial Consent ) }
sudan এ ১০ বছর বয়সে বিবাহ বৈধ । ( No Need Judicial Consent )
এরপর , Argentina , Bahamas , Barbados , Chile , Colombia , Cuba , Domenica , Garenda , Mexico , (with Judicial Consent) সহ আরও অনেক দেশ আছে যেগুলো তে বয়স নির্ধারণ করা নেই ।
এমন কি United State এর অনেক , জায়গাতেও বয়স নির্ধারণ করা নেই , California , Michigan , New Mexico , Oklahoma , PensylVania , Washington , West Virginia , !!!
এমনও অনেক দেশ আছে যেখানে ১৮ বছর বয়সে বিবাহ বৈধ আবার আরেকটি দেশে , ১৪ বছর বয়সে বিবাহ বৈধ , ভেবে দেখুন , ১৪ বছর বয়সী বিবাহ নীতি ১৮ বছর বয়সী কালচারে অবৈধ ।
সেসময় এই বিবাহটিকে সমাজ কেমন চোখে দেখতো ?
ইমাম শাফেয়ী রহ: বলেছেন , সেসময় আমি সানা নগরীতে , ২০ থেকে ২১ বছর বয়সী অনেক নারী কে দেখেছি তারা দাদী ! তাতের নাতী , নাতনী আছে ।৩। মা আয়িশা পূর্ণ বয়সে বিবাহ হলে , তিনি পুতুল খেলতেন কেন ?
অনেকে বলে থাকে , মা আয়িশা রা: সেসময় , পুতুল নিয়ে খেলেছে , তাতে বুঝা যায় , সে শিশু ছিল ।
কিন্তু এই কথাটি সমপূর্ণ ভুল ।
এই জন্যই ফাতহুল বারী লেখক ইবনে হাজার আসকালানি রহ: বলেন:
সেসময় , আরব বিশ্বে অনেক পরিপক্ক নারীও এটি নিয়ে খেলা করতো তাদের সংসারের পাশাপাশি ।
৪। মা আয়িশা রা: এর দ্রত বিবাহ হওয়ার কারণে , কি কি উপকার হলো ?
মা আয়িশা রা: দীর্ঘ নয় বছর রাসুল সা: এর জীবন সঙ্গিনী হিসেবে ছিলেন এবং রাসুল সা: এর এই নয়টি বছরই ছিল , ইসলাম পরিপূর্ণ কায়েম প্রতিষ্ঠার সময় , ! মা আয়িশা রা: এর যখন ১৮ বছর তখন রাসূলে কারীম সা: ইন্তেকাল করেন । এরপর তিনি ৩৯ বছর জীবিত থাকেন । তিনি যেভাবে , হাদীস শুনেছেন সেভাবে প্রচারও করেছেন ।প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২০৫
উপরে কি বুঝলেন ? দীর্ঘ নয় বছর , তিনি রাসুল সা: এর খেদমতে থাকার কারণে , আমরা তার থেকে অনেক হাদীস পেয়েছি এবং , তিনিই তাদের ভিতরে একজন যারা হাদীস বর্ণনায় উচ্চ স্তরে আছে ।
তিনি মোট হাদীস বর্ণনা করেছেন:
২২১০ টি (বদরুদ্দিন আঈনী এর বর্ণনা)
তাহলে নাস্তিকদের কাছে প্রশ্ন , মা আয়িশা রা: তিনি যদি ৯ বছর বয়সে না বিবাহ করতেন এত হাদীস তিনি কিভাবে রাখতে পারতেন ?
এতেই প্রমাণিত , এটি অন্যান্ত দ্বীন রক্ষার জন্য ভালো একটি মাধ্যম । তার মাদ্ধম্যে উম্মাহ আজকে হাজার হাজার হাদীস পেয়েছে ।
এবং এতেই প্রমানিত হয় , তিনি বাচ্ছা ছিলেন না । অবশ্যই তিনি পরিপক্ক নারী ছিলেন , যার কারণেই এত হাদীস তার পক্ষে আয়ত্ব করা সম্ভব হয়েছে ।
এবং শুধু তাই নয় , মা আয়িশা রা: এর মত ফকীহ , হাদীসপন্ডিত্ব , মুফাসসির , আরেকজন ছিলনা , !
প্রমাণ: আসমাউর রিজাল , পৃষ্ঠা
রাসুল সা: নিজে বলেছেন , যদি তোমাদের জামানা তোমাদের যুগে যদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তবে তোমরা ভালোটাই গ্রহণ করবে ।
প্রমাণ: MK Hassan ভাই এর ভিডিও(dropbox Link)
এর দ্বারা কি বুঝলেন ? আপনি যদি দেখেন , ৯ বছর বয়সে বিবাহ করার কারণে , কোন সমস্যা হচ্ছে , অবশ্যই তা বাদ দিয়ে দিন । আর রাসুল সা: ৯ বছর বয়সে বিবাহ ফরজ করে দেন নি ।
মা আয়েশা রা: এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে , সাহাবীরা কিছু বুঝতে কষ্টবোধ করলে মা আয়েশা রা: এর কাছে আসতেন ।
জামে আত তিরমিযি (৩৮১৫ নং হাদীস) , বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার , ঢাকা
মা আয়েশা রা: এবং তার পিতা আবু বকর রা: ছিল রাসুল সা: এর প্রিয় ব্যক্তি ।
জামে আত তিরমিযি (৩৮১৮ নং হাদীস) , বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার , ঢাকা
এখন আমাদের জানা দরকার যে আসলে মানুষ কত বছর বাচে ?
কিন্তু কেন জানবো ?
প্রশ্ন আসতে পারে । জানবো এই জন্য যে , তাহলেই বুঝা যাবে , আসলে কত বছর বয়সে তাহলে বিবাহ করা দরকার ।
আমি wikipedia থেকে একটি বর্ণণা পেলাম একদম বিস্তারিত ভাবে আমি নিচে স্ক্রিনশর্ট দিচ্ছি আপনারা দেখুন ।
লিংক:
এখানে একটি জিনিষ কি লক্ষ্য করেছেণ ? স্ক্রিনশর্ট এ মার্ক করিয়ে দেওয়া অংশ প্রমান করে এমনও এক যুগ ছিলো যে যুগে পুরুষরা 24.7 এরপর 27.5-30 এত অল্প বছর মানুষ বাচতো ।
তাহলে এখন প্রশ্ন আসবে তাহলে তারা বংশ বিস্তার করতো কিভাবে ?
হ্যা এটা সত্য যে তারা হয়ত অনেকেই যুদ্ধে , বিভিন্ন অভিযানেও মারা গেছে কিন্তু তারা বিবাহ নিশ্চয় অনেক অল্প বয়সে করতো তা না হলে বংশ বিস্তার সম্ভব নয় ।
এটা নিয়ে কিন্তু নাস্তিকরা এতটা প্রতিবাদ করে না যতটা প্রতিবাদ করে মুসলমানদের উপর ।
আবারে আসুন আরেকটি জিনিষ দেখাই ,...
wikipedia আমাদের আরেকটি জিনিষ জানালো তা হলো , United States এর অনেক জায়গাতে যেমন:
Arkansas,california,colorado,idaho,louisiana,maine,massachusetts,michigan,mississippi,nevada,new mexico, ohio,oklahoma,pennsylvania,rhodeisland, washington,west virginia,wyoming এই জায়গা গুলোতে কিন্তু বিয়ের বয়সই নির্ধারণ করিয়ে দেওয়া নেই ।
Link: bit.ly/usmrd11
তারা কি এই গুলোর বিরূধিতা করে ?
করে না
কিন্তু কেন ?
আমি বুঝিনা । আয়েশা রা: কে অল্প বয়সে বিবাহ করায় যদি সত্যই তাদের কাছে অমানবিক মনে হয় , তাহলে বর্তমান এই জায়গা গুলো তে এখনও বিবাহের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই এটার কেন প্রতিবাদ করেনা তারা ?
অন্যন্য ধর্মে বিবাহের বয়স কি বলে ?
আমি যতটুকু জানি , কোন ধর্মগ্রন্থেই বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেই । আমার জানা নেই । এইবার আমরা , তালাশ করবো , মা আয়েশা রা: এর যেহেতু , বিবাহ নিয়ে তাদের ব্যপক সমস্যা , তাহলে , এইবার আমরা দেখবো , অন্যান্য ধর্ম কি বাল্যবিবাহ পছন্দ করে কিনা ? যদি করে থাকে নাস্তিকরা তাদের বিরুধেীতা করেছে কিনা ?
রাসূল সা: এর বহু বিবাহ নিয়ে মুক্তমণারা খুব লাফালাফি করেন . কিন্তু , তারা Sri Krishna যে , ১৬১০০ নারীকে বিবাহ করে , এইটা তাদের চোখে পরেনা ।
একটা জিনিষ ভাবুন , যে নাস্তিক সে সব ধর্মের বিরুধীতা করবে , ! কিন্তু বাস্তবিক অর্থে , এরা ইসলাম ধর্মের বিরুধীতা করে নিজেদের ইসলামবিদ্বেশী প্রমান করে , কিন্তু অন্যন্য ধর্মের অসারতা এদের চোখে পরেনা ।
Sri Krishna ১৬১০০ নারীকে বিবাহ করেন ।
Refference: Charudeva Shastri Felicitation , Volume . P. 449
The Bhaktirasamrtasindhu of Rupa Gosvamin, p. 155
আবার মজার বিষয় হলো , মা আয়েশা রা: ৯ বছর বয়সে সহবাস করেছেন এটা নিয়ে , তাদের সমস্যা ,
{
আর Krishna রুক্মীনিকে বিবাহ করেন , তখন রুক্মীনির বয়স ছিল ৮ বছর ।
স্কন্দপুরানে ,
পরিষ্কার বর্ণনা পাওয়া যায়
”As time passed on she became a girl of eight years . ”
"সময়ের সাথে সাথে আট বছরের মেয়ে হয়ে যান রুকমিনি ।"
এখানে ঠিক সেসময়ের কথাই বলা হচ্ছে যেই সময় রুকমিনির বয়স ছির ৮ বছর । এবং আট বছর পরেই , রুকমিনিকে তুলে দেওয়া হয় বিবাহ বন্ধনে ।
Reference: Skanda Purana >>(Part 15>>) Book 5: Avanthya Khanda >> Section 3: Reva Khanda>> Chapter 142: The greatness of Rukmini Tirtha>> Verse 8-79
এমনও কথাও জানা যায় যে , রুকমিনি নাকি বাসর রাত্রে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল ।
Refference: Srimat Bhagabat , Volume - 3 , Chapter: Rukmini Faints And Krishna Comforts her (22-31) 22.
হাস্যকর হলেও এটাই সত্য ।
রাম কত বছর বয়সে সীতা কে বিবাহ করেছিল ?
সীতার যখন ৬ বছর বয়স তখন রাম তাকে বিবাহ করেছিল ।
Refference: Skanda Purana>> Book 3: Brahma Khanda>> Section 2: Dharmaranya Khanda>> Chapter 30: Rama’s life>> Verse 8-9(>> Page 156)
এমনও উল্লেখ্য আছে Krishna রুক্মীনিকে যখন বিবাহ করেন তখন , সে শিশুদের মত খেলা করতো ।
Refference: Brahma Vaivarta Purana>> Krishna Janma Khanda>> Chapter 105>> Verse 1-10
আরও বলা আছে Sri Krishna যখন রুকমীনি কে বিবাহ করে , তখন রুকমিনি ভালো ভাবে বিকাশ লাভ করেন নি ।
Refference: Ibid>> Chapter 112>> Verse 1-10
রূকমিনি যখন বিবাহ করেন তখন পুরোপুরি বয়সসন্ধিকাল তার হয় নি ।
Refference: The Concise Srimad Bhagavatm By Swami Venkatessanda / Publisher / Suny Press, 1989 / Book 10 / Chapter 53 / Page 292
এতক্ষন যা যা আলোচনা করলাম , সবই হলো , হিন্দুধর্মের কথা ।
হিন্দুধর্মে এতগুলো কাহীনি আছে , এইগুলো নাস্তিকরা ধরতে পারেনা , প্রশ্ন তোলে শুধু মা আয়েশা রা: এর বিবাহ নিয়ে ।
এবার আসুন , দেখি খিষ্টানধর্ম কি বলে ।
}
আরেকটি নিউজ আপনাদের দিতে পারি যেখানে , বর্তমান যুগেও , ৬৫ বছরের পুরুষ কে বিবাহ করেন ১২ বছরের এক মেয়ে । এটা খ্রিষ্টান বিয়ে ।
আবার ইন্ডিয়াতে , ১১ বছর বয়সে , একটি মেয়ে মন্দিরের সেবা দাসী হতে পারবে । এটা ভারতে জায়েজ আছে কিন্তু , বিয়ে করা জায়েজ নেই , অল্প বয়সে ।
আয়েশা রা: এর বিয়ে থেকে , আমরা অনেক কিছু শিক্ষা পাই ।
পোত্তলিকরা , একটি নারীর যখন হায়েজ হয় , তখন সেই নারীকে একটি কুড়োঘরে রেখে আসে ।
২০০৫ সালে নেপাল সরকার এটিকে নিষিদ্ধ করেন বলে জানা যায় ।
মা আয়েশা রা: এর মাদ্ধ্যমে আমরা এই ধারনা কে বিলুপ্ত হতে দেখি ।
মা আয়েশা রা: হায়েজ অবস্থায় , রাসুল সা: এর সেবা করেছেন , আলহামদুলিল্লাহ । সুতরাং , মা আয়েশা রা: এর বিয়ে ৯ বছর বয়সে যদি না হত , তাহলে এরকম অনেক শিক্ষা আমরা পেতাম না ।
পোত্তলিকদের ধারণা হলো , হায়েজ অবস্থায় কোন নারীকে স্পর্শ করলে , তার সমপূর্ণ শরীর অপবিত্র হবে ।
পোত্তলিকদের একটি ধারণা ছিল , নিষিদ্ধ মানে বিবাহ করা যাবেনা । বিবাহ করলে সমস্যা হবে ।
মুহাম্মাদ সা: মা আয়িশা রা: কে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেছেন , কোন সমস্যা হয় নাই । তিনি পোত্তলিকদের এই ধারণা ভুল প্রমান করে দিয়েছেন ।
বন্ধুর মেয়েকে বিবাহ করা যায় না , পোত্তলিক দের প্রথা ।
মহানবী সা: বন্ধুর মেয়েকে বিবাহ করেছেন ।
বন্ধুর মেয়েকে বিবাহ করাই কোন সমস্যার কথা বিজ্ঞান বলছেনা ।
পোত্তলিকদের ধারণা , হায়েজ অবস্থায় কোন নারীকে , স্পর্শ করলে , সন্ধা পর্যন্ত সেই ব্যক্তি অসতী থাকবে ।
মুহাম্মাদ সা: এবং মা আয়িশা রা: এর বিয়ে থেকে আমরা এই ধারনাও ভুল প্রমান পাই ।
বাইবেল বলতেছে , কোন নারীর মেয়ে সন্তান হলে , সে দ্বীগুন সময়ে তার হায়েজ থাকবে । হাহা হাস্যকর !
সুতরাং নাস্তিকদের এগুলো বিরূধীতার কোন যৌক্তিকতা নয় ।
েএছাড়াও বিভিন্ন জায়গার আবহাওয়া বিভিন্ন রকম যার কারনে অল্প বয়সে অনেক ছেলে মেয়ে অনেক সময় দ্রুত বড় লম্বা , অথবা খাটো হয়ে থাকে ।
আমাদের দেখতে হবে আসলে মা আয়েশা রা: বিবাহ টি করেছিলেন তার কাছে কি কোন জুলুম মনে হয়েছিলো ?
যদি হত তাহলে তো অবশ্যই উনি কোন না কোন বর্ণনায় প্রকাশ করতেন । অল্প বয়সে রাসূল সা: তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হন এটা যদি তার কাছে জুলুম মনে হত তাহলে উনি অবশ্যই বর্ণনায় এটার প্রতিবাদ করতেন ।
মূলত, আমরা মা আয়েশা রা: এর মাদ্ধম্যে জানতে পারলাম যে সর্বনিম্ন বিবাহের বয়স কত হওয়া দরকার ।
সুতরাং নাস্তিকদের এই সমস্ত প্রতিবাদের কোন যৌক্তিক নয় ।


0 Comments