মা আয়েশা রা: এর বিয়ে নিয়ে নাস্তিকদের মিথ্যাচার !

বিসমিল্লাহির  রাহমানির রাহিম
আসসালামুয়ালাইকুম ,
বন্ধুগণ , নাস্তিক ভাইরা প্রায়ই এই কথা গুলো বলে যে , মুহাম্মাদ সা: কতটা নিকূষ্ট হলে পরে ৬ বছরের শিশু কে বিবাহ করতে পারে ?!!
মারাত্মক কথা !
এইরকম প্রশ্ন শুনলে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে যে কোন মুসলমান একটু চিন্তায় পরে যাবে যে আসলে এটার উত্তর কি দেওয়া যেতে পারে !!
দু:খের বিষয় হলো অনেক মুসলমান এতে ঈমান ও হারিয়ে ফেলেছে নাস্তিকদের এই সমস্ত অযৌক্তিকি কথা বলার কারনে ।

"রাসূল সা: এর স্ত্রিগনের মধ্য মা আয়েশা রা: ই সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত ব্যাক্তি হতে পারেন ।
এর অনেকগুলো কারনও আছে ।"
                        সিয়ারু আলাম আন নুবালা তে 3/140-141 এ বিস্তারিত ভাবে বর্ণণা করা হয়েছে ।


আয়েশা রা:  তিনিই একমাত্র রাসূল সা: এর কুমারী স্ত্রি , তার নির্দেশনা ঘোষণা করে কোরআন এর আয়াত ওও নাযিল হয়েছে ।
এরকম অনেক গুলো কারন দেওয়া হয়েছে সেখানে । তাহলে চিন্তা করুন রাসূল সা: এর স্ত্রি- গন দের ভিতরে মা আয়েশা রা: কতটা উচূ মর্যদার ছিলেন ।

এইগুলো খন্ডন করার জন্য , আমি একই প্রশ্নের উত্তর কয়েকটি , প্রশ্নের উত্তরের মাদ্ধ্যমে দিয়ে দিবো , তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে , যে আসলে প্রকৃত অর্থে মা আয়েশা রা: , এর বিবাহ , আসলেই কি অনৈতিক না নৈতিক !



(১) মা আয়েশা রা: এর বয়স কত ছিল যখন তিনি বিবাহ করেন ? এবং সহবাস করেন ?

এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আমরা কিছু বিষয় আলোচনা করা উচিত বলে আমরা মনে করি ।
প্রথমেই এটি জেনে রাখা ভালো যে , মা আয়িশা রা: এর বয়স সমপর্কে ইখতিলাফ রয়েছে । এর কারণ কি ?
এর কারণ হলো , আরবদের স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর , তারা জন্মের সাল বা বয়স , সঠিক ভাবে লিখে রাখতো না । নিজেদের চিন্তার উপরেই অটল ছিল । এটার প্রমান কি ?
আরবদের স্মৃতি শক্তি যে ভালো ছিল তার প্রমান কি?
তার প্রমান হল ,
ইমাম মালিক তিনি বলেন:
    তখনকার লোক লিখিত অভ্যস্ত ছিল না , তাহারা সাধারণত মুখস্থ করিতেই অভ্যস্ত ছিলেন । তাহাদের কেহ কোন জিনিষ লিখিয়া লইলেও কেবল মুখস্ত করার উদ্দেশ্যেই লিখিতেন , আর মুখস্থ হইয়া গেলে পর উহাকে মুছিয়া ফেলিতেন ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৭

প্রমান ২ : জামেউল বায়ানুল ইলম , খন্ড : ১ , পৃষ্ঠা: ৬৪



আরেকটি প্রমান নিন:-

মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন তাবেয়ী সমপর্কে বলা হয়েছে যে , প্রথমে হাদীস লিখিয়া লইয়া উহা মুখস্ত করা এবং মুখস্থ হওয়ার পর লিখিত জিনিষ বিনষ্ট করাই ছিল তাহাদের কাজ । 
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৭
প্রমান ২:  তাবাকাতে ইবনে সা’দ , খন্ড: ৫ পৃষ্ঠা: ১০৯



এছাড়াও ঐতিহাসিক আসাকির মুহাদ্দিস ইসমাইল ইবনে উবায়দা বলেছেন:

 আমরা যেভাবে কোরআন মুখস্ত করি , সেভাবে হাদীসকেও মুখস্ত করা আমাদের কর্তব্য ।

প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২২৮
প্রমান ২:  তারিখুদ দামেস্ক , খন্ড : ২ , পৃষ্ঠা : ১৬


{{{{{
হাদীস সংকলনের ইতিহাস , পৃষ্ঠা ২২৯

আরও প্রমান পত্র :

তাহযিবুত তাহজিব:
( খন্ড - ৪ পৃষ্ঠা , ১৭৩ )
( খন্ড - ৪ পৃষ্ঠা , ১৭২ )
তারিখুল কাবির লিলবুখারী , পৃষ্ঠা : ৪ 
}}}}}

হাদীস সংকলনের ইতিহাস , পৃষ্ঠা ১০৯ 


আলহাদীসু ওয়াল মুহাদ্দিসুন ( পৃষ্ঠা , ৪৯ )


তাবেয়ী কাতাদাহ এ বিষয়ে একমত ,  (যুরকনিী , ৫নং খন্ড , পৃষ্ঠা ৪৯৫)


}


এরকম আরও অনেক প্রমান হাদীস সংকলনের ইতিহাস বইয়ে দেওয়া আছে ।



এখন কেও বলতে পারে , যে , আরবদের স্মৃতি শক্তি প্রখর তাহলে , তো , মা আয়িশা রা: বয়স নিয়ে ইখতিলাফ থাকার কথা নয় ।

এর জবাবে আমি বলতে যায় , সেসময়ের মানুষ , জন্মশন , টুকে রাখা বা মুখস্ত করে রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করতো না । তার বাস্তব প্রমান দেখা যায় , আমাদের বিশ্বনবী সা: এর জন্মসন নিয়েই ইখতিলাফ আছে । এখনকার জামানায় অনেকে জন্মদিন কে কেন্দ্র করে অনেক উতসব , বা অনেক কিছুই করে বা অনুষ্ঠান করে যায় কারণে , জন্মসন , মনে রাখা বা লিখে রাখা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় , কিন্তু সেজামানায় এত প্রয়োজন ছিল না ।

আর স্মৃতি শক্তি প্রখর থাকা মানেই কিন্তু এই নয় যে , সে কোন জিনিষ ভুলবে না । এমন টা মনে করা বোকামি । স্মৃতি শক্তি প্রখর থাকা সত্বেও ভুল হতে পারে ।

তার বাস্তব প্রমান সাহাবীদের জামানাতেই আমরা দেখি ।
সাহাবীরা রা: এর কোন হাদীস শোনার পর তা বর্ণনা করতে অত্যান্ত ভয় পেতেন । এবং তারা একটি হাদীস শোনার পর পুনরায় অন্যান্য সাহাবীদের মাঝে তা বলে ভেরিফাই করিয়ে নিতেন ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ১৫২

সাহাবীরা তাদের প্রখর স্বরণশক্তি থাকা সত্বেও তারা অত্যান্ত ভয় পেতেন হাদীস বর্ণনা করতে। তাহলে বুজুন , স্বরণশক্তি থাকার মানে কিন্তু এই নয় , যে , তাদের ভুল হবেনা ।
যেমন:
 আবু যুবায়র রা: আদৌ কোন হাদীস বর্ণনা করতেন না । একদিন হযরত আব্দুল্লাহ রা: তাহাকে প্রশ্ন করলেন , আপনি অন্যান্য সাহাবীদের মত হাদীস বর্ণনা করেন না কেন ? তিনি বললেন : রাসূলের কথার সাথে যদি আমার কথা মিশ্রত হয় তাহলে আমি জাহান্নামে চলে যাবো । এই ভয়ে আমি হাদীস বর্ণনা করিনা ।
আবু দাউদ , অধ্যায়:- কিতাবুল ইলম 


এরকম অনেক সাহাবী হাদীস বর্ণনায় সর্তকতা অবলম্বন করতেন যার প্রমান

প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ১৫২ - ১৫৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অনেক প্রমান বিদ্যামান ।


তাহলে এর দ্বারা প্রমানিত হলো , স্বরনশক্তি থাকা মানে এই নয় , যে ভুল হবেনা । সাহাবীরাও ভুল হওয়ার আশাংকা করতেন এই জন্যই তারা Safe থাকার চেষ্টা করতেন । তবে তার মানে এই নয় যে , তারা , হাদীস বর্ণনা করতে না , ! বিষয়টি এমন , যে হাদীস বর্ণনা করতেন তবে তা অত্যান্ত সাবধানতার সহীত ।

কাজেই এরকম মনে করা মুর্খামি যে , মা আয়িশা এর জন্মবয়স সেসময় , মানুষ লিখে রাখতো , বা , খুব একটা যত্ন নিত জন্ম বয়স লিখার উপরে । সুতরাং , মা আয়িশা , এর নয় বছর বয়সে বিবাহ এর বিষয়টি কে কেন্দ্র করে চুড়ান্ত ভাবে বলা উচিত নয় , যে রাসুল সা: শিশুর সঙ্গে সহবাস করেছেন ।

তো যাইহোক ,  এবার আমরা মা আয়িমা রা: এর বয়স সমপর্কে ইখতিলাফ , রেওয়ায়েত ‍গুলো দেখবো ।

মুহাম্মাদ সা: যখন মা আয়িশা রা: এর সঙ্গে দৈহিক সমপর্কে লিপ্ত হন , তখন , তার বয়স ছিল ১৭-১৮ বছর :

প্রমান দেখুন :

মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে আয়েশা (রা.)-এর বিয়ের সময় তাঁর বয়স কত ছিল, ইতিহাসবিদদের মধ্যে এ নিয়ে মতানৈক্য দেখা যায়। একদল ইতিহাসবিদের অভিমত হলো, বিয়ের সময় আয়েশা (রা.)-এর বয়স ছিল ১৪ বছর। আর যখন তাঁর সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর দৈহিক সম্পর্ক হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ থেকে ১৮ বছর। (দেখুন—আরবি পত্রিকা ‘আশ্ শিরকুল আওসাত’ : ৬-৯-২০০৮; আরবি সাহিত্যিক শওকি জইফের গ্রন্থ ‘মুহাম্মদ খাতামুল মুরসালীন’ : পৃষ্ঠা ১৭১)
Live See:>>

এরপর , আরেকটি বর্ণনা এসেছে , এবং বর্ণনা টি সহীহ:

নবী করিম (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের তিন বছর আগে খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল হয়। তারপর দুই বছর বা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আয়েশা (রা.)-কে বিয়ে করেন। তখন তিনি ছিলেন ৬ বছরের বালিকা। তারপর ৯ বছর বয়সে বাসর যাপন করেন।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৬) তাহওহিদ প্রকাশনি , 

হাদীস শরিফ থেকে আমরা জানতে পারি আয়িশা রা: কে ৬ বছর বয়সে বিবাহ করা হয় এবং ৯ বছর বয়সে , সহবাস করেন , যেমন হাদীস শরিফে  এসেছে :




এখানে আরেকটি কথা উল্লেখ্যযোগ্য মা আয়িশা রা: কে নয় বছর বয়সেই মুহাম্মাদ সা: এর হাতে তুলে দেওয়া হয় তার প্রমান :-
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৫) তাহওহিদ প্রকাশনি , 

মজার বিষয় হলো নাস্তিক রা এই হাদীস দিয়ে , যা ক্লেইম করে তা হলো , ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে ।

তাহলে আমরা দেখবো , আরবী তে যেই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার অর্থ কি ? এখানে বালিকা এর আরবী দেওয়া হয়েছে بنة , যার উচ্চারণ , বিনতুন , ! আর এটার মানে কিন্তু শিশু নয় ! বয়স ৯ হলেও শিশু নয় । এর মানে বয়সের বিষয় নিয়ে আগেই বলা হয়েছে এটি একটি অনুমানযোগ্য ।
নাস্তিকদের কে মরা পর্যন্ত চ্যালেন্জ করা যেতে পারে , যে , বিনতুন , এই শব্দের অর্থ তোমরা শিশু বের করো । উত্তর : তারা পারবেনা ।
বিনতুন অর্থ কি , ? চলুন সেটা জেনে আসি ।

আপনারা যদি , আরবী ডিকশনারী দেখেন , তাহলে সেখানে দেখবেন ,

বিনতুন অর্থ: কন্যা বা মেয়ে ।
প্রমান: আল-মু’জামুল ওয়াফী , রিয়াদ প্রকাশনী , ডক্টর ফজলুর রহমান , পৃষ্ঠা ২৩৩

নাস্তিকদের কে চ্যালেন্জ থাকলো , এই শব্দটি যেহেতু হাদীসে ব্যবহার হয়েছে সেহেতু এই শব্দের অর্থ আপনারা কি শিশু দেখাতে পারবেন কোথাও ?
এক জায়গাতেও পারবেন না । আপনারা যেই দাবী করেন শিশুকে ধর্ষণ করেছে , কথাটি সত্য নয় ।
এবার আসুন আমরা দেখবো , কোন শব্দ ব্যবহার করলে , বোঝা যাবে যে , রাসুল সা: শিশুকে ধর্ষণ করেছেন ।

আরবীতে طفل এর অর্থ হলো : শিশু , বাচ্চা , শাবক 
প্রমান: আল-মু’জামুল ওয়াফী , রিয়াদ প্রকাশনী , ডক্টর ফজলুর রহমান , পৃষ্ঠা ৬৬৬

তো নাস্তিকদের কাছে আমার আবেদন , এই হাদীস থেকে যদি এই শব্দ বের করেন , তাহলে বুঝবো , শিশু কে ধর্ষণ করা হয়েছে যদি না বের করতে পারেন , তাহলে কিসের ভিত্তিতে দাবী করতে পারেন আপনি যে , মুহাম্মাদ সা: শিশুকে ধর্ষন করেছে ?

কন্যা কাকে বলে ?
অবশ্যই , শিশুকে নয়! আপনি দেখবেন . বিনতুন এটারই ইংলিশ ব্যবহার করা হয় , Daughter !
আর শিশু তে ব্যবহার করা হয় , infant , Baby ইত্যাদি !!!
তাহলে আশা করি এটি ক্লিয়ার যে , কন্যা এবং শিশু দুটো এক জিনিষ নয় । সুতরাং মা আয়িশা রা:
এর সাথে সহবাস হয় , কন্যা থাকা অবস্থায় , মোটেও শিশু নয়।

আর শিশু থাকা অবস্থায় , যদি , তার সাথে সহবাস করা হত , সেসময় অবশ্যই মা আয়িশা রা: এর পক্ষে সহবাস
কষ্টকর হত ! কিন্তু নাস্তিকরা কি প্রমান করতে পারবে যে , মা আয়িশা রা: এর পক্ষে সহবাস কষ্টকর ছিল ?
 পারবেনা ,   কারণ , মা আয়িশা রা: সেসময় শিশু ছিলেন না । কন্যা ছিলেন । 

এবং , মজার বিষয় হলো , মা আয়েশা রা: নিজেই বলছেন :
“ একজনমেয়ে যখন নয় বছরে উপনীত হয়ে যায়, তখন সে মহিলা হয়ে যায়।”

প্রমান: তিরমিযি , কিতাবুন নিকাহ , 
Al-Kirmani, Harb bin Isma’il, Masa’il (Al-Taharah wa Al-Salah), Ed. Muhammad bin Abdullah Al-Sari‘ (Beirut: Al-Rayan Publishers, 2013) 587, No. 1289; see also al-Tirmidhi, al-Sunan/ al-Jami’ al-Kabir, (Riyadh: Maktaba Dar-us-Salam, 2007) Vol.2, 480 (under hadith 1109); al-Baihaqi, Abu Bakr,  Sunan al-Kubra (Beirut: Dar al-Kotob al-‘Ilmiya, 2003) Vol.1, 476, where it is mentioned without isnad (chain of narrators); Prominent Hanbali scholars have mentioned that Ahmad bin Hanbal reported this statement of ‘Aisha with isnad. See, Al-Maqdisi, Ibn Qudama, al-Mughni, (Cairo: Maktaba al-Qahira, 1968) Vol.7, 42; Ibn ‘Abd al-Hadi, Shams al-Din, Tanqih al-Tahqiq fi Ahadith al-Ta’liq, (Riyadh: Adwa’ al-Salaf, 2007) Vol.4, 324. It is, however, not found in Musnad and other well-known works of Ahmad bin Hanbal. Al-Albani too was unable to trace an isnad for this, see his Irwa’ al-Ghalil fi Takhrij Ahadith al-Manar al-Sabil, (Beirut: Maktab al-Islami, 1985) Vol.6, 229; Al-Kirmani’s work which, as quoted here, includes an isnad for this report, though not through Ahmad b. Hanbal, was first published in 2013 and was inaccessible to al-Albani (d. 1999).
Live Check 2 এইখানে ৪ নং পয়েন্ট লক্ষ্যযোজ্ঞ্য!!

এর দ্বারা প্রমাণিত , হয় , সেসময় , মেয়েরা , দ্রুতই , বিবাহের উপযুক্ত হতেন ।
এখানে মা আয়িশা রা: নিজেকেই ইংগিত করেছেন , তিনি অবশ্যই সেসময় বিবাহ উপযুক্ত ছিলেন ।



সুতরা: , নাস্তিক বা  ইসলামবিদ্বেশী যেটাই বলিনা কেন , তারা এই বিষয়ে যেই ক্লেইম করে , যে , ৯ বছর বয়সে সহবাস করে , শিশুধর্ষণ করেছে এটা সত্য নয় ।



২। ৬ বছর বয়সে সেসময় স্বামীর সংসার উচিত ছিল ?

মজার বিষয় হলো , নাস্তিক রা এই সময় কিছু মহাসত্য এড়িয়ে যায় ।
মা আয়েশা রা: এর বিবাহ কিন্তু , আগেও ঠিক হয়েছিল , জুবাইর ইবনে মুতিম এর সাথে engaged ছিলেন , ! দলিল কি ? প্রমান: মুসনাদে আহমাদ, ষষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ ২১১

এরপর কি হলো ? এরপর , হযরত আবু বকর রা: ইসলাম কবুল করার কারণে , সেই বিবাহ , মুহাম্মাদ সা: এর সংঙ্গে হয় ।
তাহলে এইখানে , বোঝা যায় সেসময় কালচার এটি ছিল ।

মজার বিষয় হলো , এই একই জিনিষ টার কিছু ইংগিত , আমরা বর্তমান বিশ্বে তাকালেও দেখতে পাই ।


 বর্তমান বিশ্বে বিবাহ বয়স 

মজার বিষয় হলো , এখনোও অনেক জায়গায় বিয়ের বয়সই নির্ধারণ করা নেই , যে কোন বয়সে , সে বিবাহ করতে পারবে ।
যেমন: আফ্রিকা মহাদেশের , { Djibouti , এরপর , Benin , এরপর Libya , Mauritania , Morocco , Namibia , South Africa , ( With judicial Consent )  }

sudan  এ ১০ বছর বয়সে বিবাহ বৈধ । ( No Need Judicial Consent )



এরপর , Argentina , Bahamas , Barbados , Chile , Colombia , Cuba , Domenica , Garenda , Mexico ,  (with Judicial Consent) সহ আরও অনেক দেশ আছে যেগুলো তে বয়স নির্ধারণ করা নেই ।



এমন কি United State এর অনেক , জায়গাতেও বয়স নির্ধারণ করা নেই , California , Michigan , New Mexico , Oklahoma , PensylVania , Washington , West Virginia , !!!


এমনও অনেক দেশ আছে যেখানে ১৮ বছর বয়সে বিবাহ বৈধ আবার আরেকটি দেশে , ১৪ বছর বয়সে বিবাহ বৈধ , ভেবে দেখুন , ১৪ বছর বয়সী বিবাহ নীতি ১৮ বছর বয়সী কালচারে অবৈধ ।

সেসময় এই বিবাহটিকে সমাজ কেমন চোখে দেখতো ?

ইমাম শাফেয়ী রহ: বলেছেন , সেসময় আমি সানা নগরীতে , ২০ থেকে ২১ বছর বয়সী অনেক নারী কে দেখেছি তারা দাদী ! তাতের নাতী , নাতনী আছে ।



৩। মা আয়িশা পূর্ণ বয়সে বিবাহ হলে , তিনি পুতুল খেলতেন কেন ?


অনেকে বলে থাকে , মা আয়িশা রা: সেসময় , পুতুল নিয়ে খেলেছে  , তাতে বুঝা যায় , সে শিশু ছিল ।
কিন্তু এই কথাটি সমপূর্ণ ভুল ।

এই জন্যই ফাতহুল বারী লেখক ইবনে হাজার আসকালানি রহ: বলেন:
সেসময় , আরব বিশ্বে অনেক পরিপক্ক নারীও এটি নিয়ে খেলা করতো তাদের সংসারের পাশাপাশি ।


৪। মা আয়িশা রা: এর দ্রত বিবাহ হওয়ার কারণে , কি কি উপকার হলো ?

মা আয়িশা রা: দীর্ঘ নয় বছর রাসুল সা: এর জীবন সঙ্গিনী হিসেবে ছিলেন এবং রাসুল সা: এর এই নয়টি বছরই ছিল , ইসলাম পরিপূর্ণ কায়েম প্রতিষ্ঠার সময় , ! মা আয়িশা রা: এর যখন ১৮ বছর তখন রাসূলে কারীম সা: ইন্তেকাল করেন । এরপর তিনি ৩৯ বছর জীবিত থাকেন । তিনি যেভাবে , হাদীস শুনেছেন সেভাবে প্রচারও করেছেন ।
প্রমান : হাদীস সংকলনের ইতিহাস , (মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম), খায়রুন প্রকাশনী , পৃষ্ঠা ২০৫ 

উপরে কি বুঝলেন ? দীর্ঘ নয় বছর , তিনি রাসুল সা:  এর খেদমতে থাকার কারণে , আমরা তার থেকে অনেক হাদীস পেয়েছি এবং , তিনিই তাদের ভিতরে একজন যারা হাদীস বর্ণনায় উচ্চ স্তরে আছে ।
তিনি মোট হাদীস বর্ণনা করেছেন:
২২১০ টি (বদরুদ্দিন আঈনী এর বর্ণনা)
তাহলে নাস্তিকদের কাছে প্রশ্ন , মা আয়িশা রা: তিনি যদি ৯ বছর বয়সে না বিবাহ করতেন এত হাদীস তিনি কিভাবে রাখতে পারতেন ?
এতেই প্রমাণিত , এটি অন্যান্ত দ্বীন রক্ষার জন্য ভালো একটি মাধ্যম । তার মাদ্ধম্যে উম্মাহ আজকে হাজার হাজার হাদীস পেয়েছে ।

এবং এতেই প্রমানিত হয় , তিনি বাচ্ছা ছিলেন না । অবশ্যই তিনি পরিপক্ক নারী ছিলেন , যার কারণেই এত হাদীস তার পক্ষে আয়ত্ব করা সম্ভব হয়েছে ।

এবং শুধু তাই নয় , মা আয়িশা রা: এর মত ফকীহ , হাদীসপন্ডিত্ব , মুফাসসির , আরেকজন ছিলনা , !
প্রমাণ: আসমাউর রিজাল , পৃষ্ঠা 

রাসুল সা: নিজে বলেছেন , যদি তোমাদের জামানা তোমাদের যুগে যদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তবে তোমরা ভালোটাই গ্রহণ করবে ।
প্রমাণ: MK Hassan ভাই এর ভিডিও(dropbox Link)



এর দ্বারা কি বুঝলেন ? আপনি যদি দেখেন , ৯ বছর বয়সে বিবাহ করার কারণে , কোন সমস্যা হচ্ছে , অবশ্যই তা বাদ দিয়ে দিন । আর রাসুল সা: ৯ বছর বয়সে বিবাহ ফরজ করে দেন নি ।
















মা আয়েশা রা: এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে , সাহাবীরা কিছু বুঝতে কষ্টবোধ করলে মা আয়েশা রা: এর কাছে আসতেন । 
   জামে আত তিরমিযি (৩৮১৫ নং হাদীস) , বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার , ঢাকা 



মা আয়েশা রা: এবং তার পিতা আবু বকর রা: ছিল রাসুল সা: এর প্রিয় ব্যক্তি ।

   জামে আত তিরমিযি (৩৮১৮ নং হাদীস) , বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার , ঢাকা 







এখন আমাদের জানা দরকার যে আসলে মানুষ কত বছর বাচে ?
কিন্তু কেন জানবো ?
প্রশ্ন আসতে পারে । জানবো এই জন্য যে , তাহলেই বুঝা যাবে , আসলে কত বছর বয়সে তাহলে বিবাহ করা দরকার ।
আমি wikipedia থেকে একটি বর্ণণা পেলাম একদম বিস্তারিত ভাবে আমি নিচে স্ক্রিনশর্ট  দিচ্ছি আপনারা দেখুন ।
লিংক:


এখানে একটি জিনিষ কি লক্ষ্য করেছেণ ? স্ক্রিনশর্ট এ মার্ক করিয়ে দেওয়া অংশ প্রমান করে এমনও এক যুগ ছিলো যে যুগে পুরুষরা 24.7 এরপর 27.5-30 এত অল্প বছর মানুষ বাচতো ।
তাহলে এখন প্রশ্ন আসবে তাহলে তারা বংশ বিস্তার করতো কিভাবে ?
হ্যা এটা সত্য যে তারা হয়ত অনেকেই যুদ্ধে , বিভিন্ন অভিযানেও মারা গেছে কিন্তু তারা বিবাহ নিশ্চয় অনেক অল্প বয়সে করতো তা না হলে বংশ বিস্তার সম্ভব নয় ।

                                
এটা নিয়ে কিন্তু নাস্তিকরা এতটা প্রতিবাদ করে না যতটা প্রতিবাদ করে মুসলমানদের উপর ।
আবারে আসুন আরেকটি জিনিষ দেখাই ,...
wikipedia আমাদের  আরেকটি জিনিষ জানালো তা হলো , United States এর অনেক জায়গাতে যেমন:
Arkansas,california,colorado,idaho,louisiana,maine,massachusetts,michigan,mississippi,nevada,new mexico, ohio,oklahoma,pennsylvania,rhodeisland, washington,west virginia,wyoming এই জায়গা গুলোতে কিন্তু বিয়ের বয়সই নির্ধারণ করিয়ে দেওয়া নেই ।
তারা কি এই গুলোর বিরূধিতা করে ?
করে না
কিন্তু কেন ?
আমি বুঝিনা । আয়েশা রা: কে অল্প বয়সে বিবাহ করায় যদি সত্যই তাদের কাছে অমানবিক মনে হয় , তাহলে বর্তমান এই জায়গা গুলো তে এখনও বিবাহের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই এটার কেন প্রতিবাদ করেনা তারা ?

অন্যন্য ধর্মে বিবাহের বয়স কি বলে ?

আমি যতটুকু জানি , কোন ধর্মগ্রন্থেই বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেই । আমার জানা নেই । এইবার আমরা , তালাশ করবো , মা আয়েশা রা: এর যেহেতু , বিবাহ নিয়ে তাদের ব্যপক সমস্যা , তাহলে , এইবার আমরা দেখবো , অন্যান্য ধর্ম কি বাল্যবিবাহ পছন্দ করে কিনা ? যদি করে থাকে নাস্তিকরা তাদের বিরুধেীতা করেছে কিনা ?

রাসূল সা: এর বহু বিবাহ নিয়ে মুক্তমণারা খুব লাফালাফি করেন . কিন্তু , তারা Sri Krishna যে , ১৬১০০ নারীকে বিবাহ করে , এইটা তাদের চোখে পরেনা ।
একটা জিনিষ ভাবুন , যে নাস্তিক সে সব ধর্মের বিরুধীতা করবে , ! কিন্তু বাস্তবিক অর্থে , এরা ইসলাম ধর্মের বিরুধীতা করে নিজেদের ইসলামবিদ্বেশী প্রমান করে , কিন্তু অন্যন্য ধর্মের অসারতা এদের চোখে পরেনা ।

Sri Krishna ১৬১০০ নারীকে বিবাহ করেন ।
Refference: Charudeva Shastri Felicitation , Volume . P. 449
The Bhaktirasamrtasindhu of Rupa Gosvamin, p. 155
আবার মজার বিষয় হলো , মা আয়েশা রা: ৯ বছর বয়সে সহবাস করেছেন এটা নিয়ে , তাদের সমস্যা  , 

{
আর Krishna রুক্মীনিকে বিবাহ করেন , তখন রুক্মীনির বয়স ছিল ৮ বছর ।


স্কন্দপুরানে , 
পরিষ্কার বর্ণনা পাওয়া যায় 
As time passed on she became a girl of eight years . 
"সময়ের সাথে সাথে আট বছরের মেয়ে হয়ে যান রুকমিনি ।"
এখানে ঠিক সেসময়ের কথাই বলা হচ্ছে যেই সময় রুকমিনির বয়স ছির ৮ বছর । এবং আট বছর পরেই , রুকমিনিকে তুলে দেওয়া হয় বিবাহ বন্ধনে ।
 Reference: Skanda Purana >>(Part 15>>) Book 5: Avanthya Khanda >> Section 3: Reva Khanda>> Chapter 142: The greatness of Rukmini Tirtha>> Verse 8-79


এমনও কথাও জানা যায় যে , রুকমিনি নাকি বাসর রাত্রে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল ।
Refference: Srimat Bhagabat , Volume - 3 , Chapter: Rukmini Faints And Krishna Comforts her (22-31) 22.
হাস্যকর হলেও এটাই সত্য ।

রাম কত বছর বয়সে সীতা কে বিবাহ করেছিল ?
সীতার যখন ৬ বছর বয়স তখন রাম তাকে বিবাহ করেছিল ।
Refference: Skanda Purana>> Book 3: Brahma Khanda>> Section 2: Dharmaranya Khanda>> Chapter 30: Rama’s life>> Verse 8-9(>> Page 156) 


এমনও উল্লেখ্য আছে Krishna রুক্মীনিকে যখন বিবাহ করেন তখন , সে শিশুদের মত খেলা করতো ।
Refference: Brahma Vaivarta Purana>> Krishna Janma Khanda>> Chapter 105>> Verse 1-10

আরও বলা আছে Sri Krishna যখন রুকমীনি কে বিবাহ করে , তখন রুকমিনি ভালো ভাবে বিকাশ লাভ করেন নি ।
Refference: Ibid>> Chapter 112>> Verse 1-10

রূকমিনি যখন বিবাহ করেন তখন পুরোপুরি বয়সসন্ধিকাল তার হয় নি ।
Refference: The Concise Srimad Bhagavatm By Swami Venkatessanda / Publisher / Suny Press, 1989 / Book 10 / Chapter 53 / Page 292

এতক্ষন যা যা আলোচনা করলাম , সবই হলো , হিন্দুধর্মের কথা ।
হিন্দুধর্মে এতগুলো কাহীনি আছে , এইগুলো নাস্তিকরা ধরতে পারেনা , প্রশ্ন তোলে শুধু মা আয়েশা রা: এর বিবাহ নিয়ে ।
এবার আসুন , দেখি খিষ্টানধর্ম কি বলে ।

}

আরেকটি নিউজ আপনাদের দিতে পারি যেখানে , বর্তমান যুগেও , ৬৫ বছরের পুরুষ কে বিবাহ করেন ১২ বছরের এক মেয়ে । এটা খ্রিষ্টান বিয়ে ।

আবার ইন্ডিয়াতে , ১১ বছর বয়সে , একটি মেয়ে মন্দিরের সেবা দাসী হতে পারবে । এটা ভারতে জায়েজ আছে কিন্তু , বিয়ে করা জায়েজ নেই , অল্প বয়সে ।

আয়েশা রা: এর বিয়ে থেকে , আমরা অনেক কিছু শিক্ষা পাই ।
পোত্তলিকরা , একটি নারীর যখন হায়েজ হয় , তখন সেই নারীকে একটি কুড়োঘরে রেখে আসে ।
২০০৫ সালে নেপাল সরকার এটিকে নিষিদ্ধ করেন বলে জানা যায় ।

মা আয়েশা রা: এর মাদ্ধ্যমে আমরা এই ধারনা কে বিলুপ্ত হতে দেখি ।
মা আয়েশা রা: হায়েজ অবস্থায় , রাসুল সা: এর সেবা করেছেন , আলহামদুলিল্লাহ । সুতরাং , মা আয়েশা রা: এর বিয়ে ৯ বছর বয়সে যদি না হত , তাহলে এরকম অনেক শিক্ষা আমরা পেতাম না ।
পোত্তলিকদের ধারণা হলো , হায়েজ অবস্থায় কোন নারীকে স্পর্শ করলে , তার সমপূর্ণ শরীর অপবিত্র হবে ।





পোত্তলিকদের একটি ধারণা ছিল , নিষিদ্ধ মানে বিবাহ করা যাবেনা । বিবাহ করলে সমস্যা হবে ।
মুহাম্মাদ সা: মা আয়িশা রা: কে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেছেন , কোন সমস্যা হয় নাই । তিনি পোত্তলিকদের এই ধারণা ভুল প্রমান করে দিয়েছেন ।


বন্ধুর মেয়েকে বিবাহ  করা যায় না , পোত্তলিক দের প্রথা ।
মহানবী সা: বন্ধুর মেয়েকে বিবাহ করেছেন ।
বন্ধুর মেয়েকে বিবাহ করাই কোন সমস্যার কথা বিজ্ঞান বলছেনা ।

পোত্তলিকদের ধারণা , হায়েজ অবস্থায় কোন নারীকে , স্পর্শ করলে , সন্ধা পর্যন্ত সেই ব্যক্তি অসতী থাকবে ।
মুহাম্মাদ সা: এবং মা আয়িশা রা: এর বিয়ে থেকে আমরা এই ধারনাও ভুল প্রমান পাই ।

বাইবেল বলতেছে , কোন নারীর মেয়ে সন্তান হলে , সে দ্বীগুন সময়ে তার হায়েজ থাকবে । হাহা হাস্যকর !





































সুতরাং নাস্তিকদের এগুলো বিরূধীতার কোন যৌক্তিকতা নয় ।
েএছাড়াও বিভিন্ন জায়গার আবহাওয়া বিভিন্ন রকম যার কারনে অল্প বয়সে অনেক ছেলে মেয়ে অনেক সময় দ্রুত বড় লম্বা , অথবা খাটো হয়ে থাকে ।

আমাদের দেখতে হবে আসলে মা আয়েশা রা: বিবাহ টি করেছিলেন তার কাছে কি কোন জুলুম মনে হয়েছিলো ?
যদি হত তাহলে তো অবশ্যই উনি কোন না কোন বর্ণনায় প্রকাশ করতেন । অল্প বয়সে রাসূল সা: তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হন এটা যদি তার কাছে জুলুম মনে হত তাহলে উনি অবশ্যই বর্ণনায় এটার প্রতিবাদ করতেন ।
মূলত, আমরা মা আয়েশা রা: এর মাদ্ধম্যে জানতে পারলাম যে সর্বনিম্ন বিবাহের বয়স কত হওয়া দরকার ।
সুতরাং  নাস্তিকদের এই সমস্ত প্রতিবাদের কোন যৌক্তিক নয় ।

Post a Comment

0 Comments