কোরআনে এমন শব্দ কেন আছে যেটার অর্থ কেও জানেনা ? নাযিল করার দরকার কি তাহলে ? -- এর জবাব

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামুয়ালাইকুম , বন্ধুরা .... আশা করি সবাই ভালো আছেন ।
মহাগ্রন্থ আল কোরআনে এমন অনেক আয়াত আছে যেগুলোর অর্থ আল্লাহ তায়া’লা ছাড়া কেও জানেনা ।
নাস্তিকরা এখানে অভিযোগ করেছেন .. তাহলে এমন কোরআন নাযিল করার দরকার কি ?
হ্যা আমি নাস্তিকদের সাথে একমত যে , “কোরআনে এমন কিছূ আয়াত আছে যার অর্থ আল্লাহ তায়ালা নিজেই জানেন এছাড়া কারও জানা সম্ভব নয় ”
যেমন:
সুরা বাকারা আয়াত ১
এরকম অনেক আয়াত আছে যার অর্থ কারও পক্ষে বের করা সম্ভব নয় !
কিন্তু কেন এমন আয়াত নাযিল করা হল ?
প্রশ্ন টির উত্তর আমরা এড়িয়ে যাই কিন্তু কিছূ কিছু সময় , এড়িয়ে যাওয়া মোটেও ঠিক নয় ।
আমি আমার মত করে নাস্তিক কে বুঝাবো দেখূণ ....হয়ত এতে কোন বিশেষ অর্থ থাকতে পারে । সেটা আল্লাহ ভালো জানেন । কিন্তু ... একবার ভেবে দেখুন যত তাফসির বিদ কোরআনের তাফসির করেছেন ... সবাই একথা একমত যে তাদের তাফসির কোরআনের পরিপূর্ণ অর্থ  নয় কারন কোরআনের একটা আয়াতের অর্থ  থেকে হাজার হাজার গবেষনা বের হবে । এজন্য কোন ব্যাক্তি তাফসির লিখে এমন দাবি করে নাই যে আমি যেই তাফসির লিখছি এর চাইতে ভালো তাফসির আল্লাহর আকাশের নিচে যমিনের উপরে আর নেই , এই কথা কেও বলতে পারবেনা । কিন্তু কথার কথা যদি কেও বলে তাহলে আল্লাহ কি তাকে ঠেকাতে পারবে ? অনেকে বলতে পারে হয়ত পারবেনা ।
আমি বলবো আল্লাহ তায়ালা তখন ওকে ‘আলিফ লাম মিম’ দিয়ে ওর সমস্ত বিদ্যা কে স্টপ করিয়ে দিতে পারবে । কারন হল , ঐ ব্যাক্তি যে কোন অর্থই বের করুক না কেন আমরা জানি এই সমস্ত আয়াতের অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেও বের করতে পারবেনা । তাই ঐ ব্যাক্তিও কখনও বলতে পারবেনা আমি যেই লিখা লিখছি এর চাইতে ভালো মানের ব্যাখা আর কেও করতে পারবেনা । এমন টা কেও বলতে পারবেনা ।
আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার সমস্ত , মুফাসসির , মুহাদ্দিস , আলেম যত বিদ্যাওয়ালা আছে সবার মুখে স্টপ বাটন মেরে দিয়েছে এই শব্দ গুলো দিয়ে । এই শব্দ গুলো যদি না থাকতো দুনিয়ার মানুষ বলতো কোন আয়াতের তাফসির করতে হবে আমার কাছে নিয়ে আসো আমিই যথেষ্ট আর আমি যেই তাফসির করবো কারও বাবার হিম্মত নাই ভুল ধরার ,
এটাই তারা বলতো কিন্তু সেই সুযোগ আর নেই । আল্লাহ তায়ালা যেমন আয়াতের ভাজে ভাজে বিভিন্ন আয়াত দিয়ে হাজার হাজার েইংগিত দিয়েছে ঠিক তেমনি সরাসরি কিছু আয়াত দিয়েছেন যার অর্থের উপর মানুষগণ পন্ডিতি করতে পারবেনা ।
যাই হোক , এটি আমি নিজের পক্ষ থেকে আমি উত্তর টি দিলাম কোন তাফসিরবিদের মতামত নয় । 
সুতরাং, নাস্তিক দের এমন কথা কোন ভিত্তি নেই । তারা পুনরায় একই প্রশ্নই করবে “তাহলে এমন অংশ নাযিল করার দরকার কি ?
এর উত্তর একটিই আমি দিবো “মানুষ যেন বেশি পন্ডিতি না করে “
তবে হ্যা আল্লাহ তা’য়ালার আলাদা উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে । তবে সেটি এটি নয় যেটা আমি উপরে বললাম এটি শুধু মাত্র নাস্তিকদের বুঝানোর জন্য একটি লিখা দিলাম । এটি নিয়ে মুসলমানদের ভিতরে মতভেদ এর প্রয়োজন নেই ।

Post a Comment

0 Comments