বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামুয়ালাইকুম , বন্ধুরা সাফিয়া রা: নিয়ে নাস্তিকদের অভিযোগ খন্ডন করার আগেও আমাদের জানা দরকার আসলে সাফিয়া রা: কে ? কি তার পরিচয় ? তিনি কেমন ছিলেন !
তার পুরো নাম “হযরত সাফিয়া বিনত ইবন্ আখতাব”
বিদায়া ওয়ান নিহাইয়া এর বর্ণনায় এভাবে এসেছে
হযরত সাফিয়া রা: একজন উম্মুল মু’মিনীন । তিনি হযরত হারূন আ: এর বংশধর ছিলেন । হযরত সাফিয়া রা: তার পিতা ও চাচাতো ভাই আখতাবের সাথে মদীনায় বসবাস করতেন । রাসূল সা: ইয়াহুদী গোত্র বানূ নাদীরকে যখন মদীনা থেকে বহিষ্কার করলেন তখন এর স্বগোত্রীয় লোকদের সাথে খায়বার চলে যায় । পরবর্তীতে বানূ কুরায়যা গোত্রের ইয়াহুদী পুরুষদের সাথে সাফিয়্যা এর পিতা দুই জনই নিহত হয় । রাসূল সা: তখন খায়বার দূর্গ জয় করেন তখন বন্দি লোকদের মদ্ধে সাফিয়া রা: বন্দি হয়ে আসেন । তারপর বন্টনে তিনি দাহিয়া কালবির ভাগে পরে যান । ইতিমদ্ধে তার রূপ-গুন ও বংশ অভিজাত্যের কথা রাসূল সা: েএর নিকট পেশ করা হলে তিনি উপযুক্ত বিনিময় প্রদান করে সাফিয়া কে নিজের জন্য নিয়ে আসেন এবং সাফিয়া ইসলাম গ্রহন করেন । রাসূল সা: তাকে মুক্তি দিয়ে বিয়ে করেন । সাহবা এলাকাতে পৌছে হযরত সাফিয়া পাক- পবিত্র হন এবং রাসূল সা: তার সথে সহবাস করেন । হযরত উম্মু সুলায়ম রা: তাকে বাসর ঘড়ে যাবার জন্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন । ইতিপূর্বে সাফিয়া তার চাচাতো ভাই কিনানা ইবন্ আবি হুকায়কের স্ত্রী ছিলেন । যুদ্ধে কিনানা নিহত হন । বিয়ের পরে রাসূল সা: সাফিয়ার মুখে দাগ দেখতে পেলে উনি বলেন “একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম যে একটি চাদের বস্তু ইয়াসরিব থেকে এসে আমার কোলের মদ্ধে পড়েছে । আমি এই স্বপ্নের ব্যাখা আমার চাচাতো ভাইকে বলার পর উনি আমাকে একটি থাপ্পর মারে এবং বলে :: “তুই এই কামনায় বসে আছিস যে, ইয়াসরিবের রাজা তোকে বিয়ে করবে “:: এই হলো সেই থাপ্পরের দাগ ”
ইবাদত , বন্দেগী , তাকওয়া পরহেজগারী , দান-সদকা ও পূণ্য করে্ তিনি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মহিলা ছিলেন । আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং তাকে সন্তুষ্ট করুন । ওয়াকিদী বলেছেন যে, 50 হিজরী সনে হযরত সাফিয়্যা রা: ইন্তিকাল করেন । কেউ কেউ বলেন যে, তার ইন্তিকাল হয়েছে ৩৬ হিজরী সনে । তকে প্রথম অভিমত সঠিক ও বিশুদ্ধ ।
Al Bidaya Wan Nihaya


0 Comments