বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামুয়ালাইকুম , বন্ধুগণ .. নাস্তিকদের আরেকটি সমস্যা হল রাসূল সা: এর বহু বিবাহ নিয়ে । কখন কার কোন ভাবে কোন আকিদায় কি চুলকানী উঠে ইসলাম নিয়ে এইটা আল্লাহ তায়ালাই ভালো বলতে পারবেন । কারন হল, চিন্তা করে দেখুন একটা বিবাহ সেটা নিয়েও নাস্তিকদের চুলকানি । ওদের দৃষ্টি থেকে একজন মানুষ যদি ২০ জন নারীর সাথে সেক্স করে সেক্ষেত্রে কোন কিছু হবে না । সেটা জায়েজ ! ঐটা নিয়ে সমলোচনার দরকার নেই । আবার এইসমস্ত লোকই দেখবেন রাসূল সা: এর বহু বিবাহ নিয়ে কথা বলে ।
আজব ব্যপার !
আশ্চার্য হয়ে যাই মাঝে মাঝে !
ওরা মূলত যেটা বুঝাতে চায় এই প্রশ্নের মাদ্ধম্যে সেটি হল , মুহাম্মাদ সা: নারী লোভী ছিল । সে সেক্স করার জন্য এতগুলো নারীকে বিবাহ করেছিলো ।তো আমি এই পোষ্টে েএই গুলো জিনিষ একদম ক্লিয়ার ভাবে খন্ডন করবো ইনশাআল্লাহ !
প্রথমে আমাদের দেখা দরকার যে , রাসূল কোন কোন পরিস্থিতি তে বিবাহ করেছিলেন ।
প্রথম বিবাহ করেস হযরত খাদিজা রা: কে । বিবাহ টি সমপূর্ণ করেন ২৫ বছর বয়সে । ২৪ বছর পর্যন্ত উনি কোন বিবাহ করেন নি । এই সময় খাদিজা (রাঃ) এর বয়স ছিল ৪০ বছর এবং ইতিপুর্বে খাদিজা (রাঃ)এর ২ বার অন্যত্র বিয়েও হইয়েছিল।এবং পুর্বের কয়েকজন সন্তান ও ছিল । ২৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত আমাদের নবী খাদিজা রা: এর সাথে সংসার করেন । এর মদ্ধ্যে আর কোন বিবাহ তিনি করেন নি । খাদিজা রা: এর ইন্তেকালের পর ২বছর পর ৫৩ বছর বয়সে রাসুলুল্লাহ সা: ২য় বিবাহ সমপূর্ণ করেন ।
ভেবে দেখুন রাসূল সা: নারী লোভী হলে খাদীজা রা: ৪০ বছরের একজন মহিলাকে তিনি বিবাহ করতেন না এবং বিবাহ করে এতদিন সংসার করার প্রশ্নই উঠেনা । নারী লোভী হলে এতদিনে আরও বিবাহ করতেন । কিন্তু তিনি তা করেন নি । এবার দেখুন ৫৩ থেকে ৬৩ বছর পর্যন্ত রাসূর সা: বাকি বিবাহ গুলো সমপূর্ন করেন ।
মুহাম্মাদ সা:িএতগুলো বিবাহ তখনই করতো যখন সে যুবক ছিলো যদি সে নারীলোভি হত । কিন্তু তিনি তা করেন নি । এবার দেখুন হযরত আয়েশা রা: একমাত্র কুমারী ছিলেন বাকি সবাই হয় বিধবা না হলে তালাক প্রাপ্তা ছিলেন । আয়েশা রা: ছিলেন আবু বকর রা: এর মেয়ে । আর আবু বকর রা: ছিলেন রাসূল এর বন্ধু । বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ৬ অথবা ৯ বছ র।তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। আয়েশার স্মরন শক্তিও ছিল অসাধারন।হযরতআয়েশা (রাঃ)হুযুর সাঃ মৃত্যুর প র সবচেয়ে বেশী দিন বেচে ছিলেন এবং তিনিই স্ত্রীগনেরমধ্যে সবচেয়ে বেশী হাদীস বর্ননা ক রে গেছেন।
এখন ভেবে দেখুন তো আয়েশা রা: কে বিবাহ কেন করেছিলেন রাসূল সা: তাও আবার ৬ বা ৯ বছরে ?
কি দেখে ?
দেখুন:
আবু বকর রাঃ সাথের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আত্মীয়তার মজবুত বাঁধনে পর্যবেশিত করে রাখা।
আয়েশা রাঃ ইসলামের বিধি বিধান শিক্ষা এবং তৈরী করা যাতে তিনি ইসলামের বিধি বিধানকে সংরক্ষণ, (বিশেষ করে নারীদের জন্য একান্ত বিষয়াদি) রাসুল সাঃ জীবন ইতিহাস, আল কোরআনের আয়াতের নাজিলের কারণ এবং মানুষকে তাঁর সঠিক শিক্ষাদান করতে পারেন।
উনাকে সে ভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল যাতে তিনি উনার সম্পূর্ণ সক্ষমতাকে ইসলামের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
আয়েশা রাঃ ইসলামের বিধি বিধান শিক্ষা এবং তৈরী করা যাতে তিনি ইসলামের বিধি বিধানকে সংরক্ষণ, (বিশেষ করে নারীদের জন্য একান্ত বিষয়াদি) রাসুল সাঃ জীবন ইতিহাস, আল কোরআনের আয়াতের নাজিলের কারণ এবং মানুষকে তাঁর সঠিক শিক্ষাদান করতে পারেন।
উনাকে সে ভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল যাতে তিনি উনার সম্পূর্ণ সক্ষমতাকে ইসলামের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
আবার দেখুন , অন্যতম ৪জন হাদীস
বর্ণণাকারী তার মদ্ধ্যে আয়েশা রা: একজন । যিনি একাই 2000+ হাদীস বর্ণণা করে গেছেন । তার মদ্ধ্যে 2210 টি হাদীসের মদ্ধ্যে 174 টি বুখারী এবং বাকি গুলো মুসলিম এ পেয়েছে স্থান ।
তাহলে এখন ভাবুন , রাসূল সা: কেন আয়েশা রা: কে অল্প বয়সে বিবাহ করেছেন ?
কারন , আয়েশা রা: ছোট অল্প বয়ষ থেকেই যেন রাসূল সা: এর কাজ দেখে মুখস্ত করে নিতে পারে এবং তার মাদ্ধ্যমে যেন ইসলামের একটি হাদীস বর্ণণায় সুবিধা হয় ।
এবার দেখি রাসূল সা: এর জীবনে কে কোন অবস্থায় বিবাহ করেচেন:-
খাদিজা বিনত খাওয়ালাত (রা) বয়স ৪০ -দুই বারের বিধবা
তাহলে এখন ভাবুন , রাসূল সা: কেন আয়েশা রা: কে অল্প বয়সে বিবাহ করেছেন ?
কারন , আয়েশা রা: ছোট অল্প বয়ষ থেকেই যেন রাসূল সা: এর কাজ দেখে মুখস্ত করে নিতে পারে এবং তার মাদ্ধ্যমে যেন ইসলামের একটি হাদীস বর্ণণায় সুবিধা হয় ।
এবার দেখি রাসূল সা: এর জীবনে কে কোন অবস্থায় বিবাহ করেচেন:-
খাদিজা বিনত খাওয়ালাত (রা) বয়স ৪০ -দুই বারের বিধবা
সাওদা বিনত যা’মা (রা) বয়স ৫০ ---------- বিধবা
আয়েশা বিনত আবু বকর সিদ্দিক (রা) বয়স ৯ (!) -------------- কথিত যে তিনি ৯ বছর বয়স থেকে
রাসুল (সাঃ) এঁর ঘরে আসেন
হাফসা বিনত উমর বিন খাত্তাব (রা) বয়স ২২ --------------- বিধবা
রাসুল (সাঃ) এঁর ঘরে আসেন
হাফসা বিনত উমর বিন খাত্তাব (রা) বয়স ২২ --------------- বিধবা
যায়নাব বিনত খুযাইমাহ (রা) বয়স ৩০ ---------------- বিধবা
উম্ম সালমা বিনত আবু উমাইয়া (রা) বয়স ২৯ ---------------- বিধবা
যায়নাব বিনত জাহাশ (রা) বয়স ৩৮ ---------------------- তালাকপ্রাপ্তা
জুয়াইরিয়া বিনত হারিস (রা) বয়স ২০ --------------------- বিধবা
উম্ম হাবিবা বিনত আবু সুফিয়ান (রা) বয়স ৩৬ --------------- বিধবা
রায়হানা বিনত উমরু বিন হানাফা (রা) সঠিক বয়স জানা যায় নাই------------ বিধবা
সাফিয়া বিনত হুবাই বিন আখতাব (রা) বয়স ১৭ ----------------২ বারের বিধবা
মারিয়া কিবতিয়া বিনত শামুন (রা) সঠিক বয়স জানা যায় নাই ------ অবিবাহিতা মিশর থেকে আসা
মায়মুনা বিনত হারিস (রা) বয়স ৩৬ -------------------------- বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা
এখন ভেবে দেখুন এই নিয়ে নাস্তিকদের অবস্থা খারাপ ! রাসূল সা: এর প্রতিটি বিবাহ এর কারণ হল , রাজনৈতিক ও সমাজসংস্কার এর জন্য । যেমন:
আবু বকর রা: , উসমান রা: , ওমর রা: এবং আলি রা: এর সাথে রাসূল একটি আত্মীয় করতে চান , সেজন্য নিজের ২ মেয়েকে উসমান রা: এবং আলি রা: এর সাথে বিবাহ দেন এবং ওমর রা: ও আবু বকর রা: এর মেয়েকে রাসূল সা: বিবাহ করেন ।
তৎকালিন আরবে জামাতর সন্মান ও গুরুত্ব ছিল চরম পর্যায় এবং জামাতর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা ছিল অত্যন্ত লজ্জা জনক।কোরেয়েস নেতা আবু সুফিয়ান যিনি বদর,ওহুদ ও খন্দক যুদ্ধকরে ছিলেন তিনি অস্ত্র ত্যাগ করেন যখন আল্লাহর রসুল(ছ)তাঁর কন্যা হাবিবা কে বিয়ে করেন।ঠিক একই ভাবেউম্মে সালমা রাঃ কে বিয়ে করার পর বনু মাখজুমের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।হযরত জোওয়ায়রিয়া রাঃ এবং হযরত সাফিয় রাঃ কে বিয়ে করার পর বনু মোস্তালিক ও বনু নাযির গোত্র মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ত্যাগ করে।যয়নাব বিনতে জাহাসরাঃ কে বিয়ে করেন মুতাবান্না-পৌষ্য পুত্রের বিতন্ডা মিমাংসা করার জন্য।
এছাড়া দিনের খুটিনাটি বিষয় প্রচার করার জন্য চারটির অধিক স্ত্রী গ্রহনের জন্য আল্লাহ পাক নির্দেশ দিয়ে ছিলেন।শরিয়তের হুকুম আহকাম মসলা মাসায়েল স্ত্রীলোকদের গোপন বিষয় নবী পত্নীগন প্রচার করতেন।
যদি তিনি সেক্সের জন্য বিয়ে করতেন তাহলে যুবক বয়সে করতে পারতেন।কারন তৎকালিন আরবে দশ বিশ টা বিয়ে করা সমাজের চোখে কোন বাঁধা ছিল না।কিন্তু তিনি একজন বিধবা ও বয়স্ক স্ত্রী নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেন।বিদ্ধ বয়সে(৫২-৫৫)তিন বছরের মধ্যে আল্লাহ পাকের নির্দেশে একাধিক বিয়ে করে ছিলেন।
পাঠক এবার আপনারাই বলুন নবী সা : এর বিয়ে সংক্রান্ত ব্যপারে কোন অপবাদ আরোপ করা কি ঠিক?
এছাড়া দিনের খুটিনাটি বিষয় প্রচার করার জন্য চারটির অধিক স্ত্রী গ্রহনের জন্য আল্লাহ পাক নির্দেশ দিয়ে ছিলেন।শরিয়তের হুকুম আহকাম মসলা মাসায়েল স্ত্রীলোকদের গোপন বিষয় নবী পত্নীগন প্রচার করতেন।
যদি তিনি সেক্সের জন্য বিয়ে করতেন তাহলে যুবক বয়সে করতে পারতেন।কারন তৎকালিন আরবে দশ বিশ টা বিয়ে করা সমাজের চোখে কোন বাঁধা ছিল না।কিন্তু তিনি একজন বিধবা ও বয়স্ক স্ত্রী নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেন।বিদ্ধ বয়সে(৫২-৫৫)তিন বছরের মধ্যে আল্লাহ পাকের নির্দেশে একাধিক বিয়ে করে ছিলেন।
পাঠক এবার আপনারাই বলুন নবী সা : এর বিয়ে সংক্রান্ত ব্যপারে কোন অপবাদ আরোপ করা কি ঠিক?
সুতরাং, নাস্তিক রা সত্যই আজব ! তাদের এইসমস্ত কথার কোন ভিত্তি নেই । উপরের কথা গুলো শুনে কোন সুস্থ মস্তিস্কের লোক বলতে পারেনা যে , রাসুল সা: নারীলোভী থাকার কারনে বিবাহ েকরেছিলেন অনেক গুলো ।

0 Comments