বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আশা করি সবাই অনেক ভালোই আছেন , অনেকদিন পর ভাবলাম সামনে কোরবানী তাই কোরবানী নিয়ে নাস্তিকদের কিছু কথার জবাব না দিলেই নয় ।
পশু যবেহ করার ইসলামি পদ্ধতিটি বেশ কিছু লোক সমলোচনার হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে ।
সমলোচনা না করলে তাদের পেটের ভাত হজম হয়না এমন একটি পরিস্থিতি হয়ে গেছে তাদের । যেগেতু তারাও মানুষ আমিও মানুষ তাদের হজম কষ্ট হলে আমার সেটি দেখা দায়িত্ব , , তিই চলুন , তাদের হজমের যেত সমস্যা না হয় , সেই জন্য তাদের সমলোচনার জবাব দিয়েই দিই নাকি বলুন ?
এই প্রশ্নের উত্তরে আমাকে সহযোগীতা করেছে , স্যার ডক্টর জাকির নায়েক
যার লিখা ইসলাম সমপর্কে অমুসলিমদের কিছু সাধারন প্রশ্নের জবাব এই বইটি তে উনি বিস্তারিত নাস্তিকদের এই হজম সমস্যার সমাধান দিয়েছেন । দু:খের বিষয় কি জানেন ? আফসোস তাদের জন্য যারা হক্ব পেয়েও হক্ব কে স্বীকার করেনা । যাগ গে সেসব কথা সরাসরি আলোচনায় চলে যায় আসুন দেখি স্যার জাকির নায়েক তাদের কে কিভাবে বুঝিয়েছেন ।
মুসলমানরা নাকি পশু কে অনেক কষ্ট দিয়ে মারে ।
ডক্টর জাকির নায়েক প্রশ্ন টির উত্তর দেওয়ার আগে একজন শিখ এর কথা উল্লেখ্য করেছেন । একজন শিখ একজন মুসলমান কে বলেছে তোরা তো আসতে আসতে একটি পশু কে মারিস , আর আমরা এক কোপে একটা পশু হত্যা করি এতে কষ্ট কম হয় ।
এটি হলো শিক সেই ধর্মপ্রাণের দাবী ।
প্রকৃতঅর্থে , মুসলমানদের জবেহ করা যেমন মানবিক তেমনি সাইন্টিফিক আসুন বিষয় গুলো এক্সপ্লেইন করি !
পশু যবেহের ইসলামি পদ্ধতি:-
1.পশু যবেহের ছুরি ধারালো হতে হবে ।
2.গলানালী, শ্বাসনালী , ও ঘাড়ের রক্তবাহী নালী কেটে ফেলতে হবে ।
3.রক্ত বের করে দিতে হবে ।
এই হলো ইসলামী প্রক্রিয়ায় জবেহ করার শর্ত এর উপকার কি সেটা নিয়েও বলবো । আগে ৩ টা পয়েন্ট কে এক্সপ্লেইন করি ।
1.পশু যবেহের ছুরি ধারালো হতে হবে ।
প্রশ্ন আসতে পারে কেন ধারালো ছুড়ি হতে হবে ? এর কারণ হলো ছুড়ি ধারালো না হলে সময় বেশি লাগবে সোমানে ঘোষা দিতে হবে এতে পশুর মানসিক ও শারীরিক ২ টোরিই কষ্ট বেশি হবে ।
এজন্য যত দ্রুত সম্ভব ধারালো ছুড়ি দিয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে জবাই করতে হবে । যাতে যথাসম্ভব যন্ত্রণা কমিয়ে নেওয়া যায় ।
2.গলানালী, শ্বাসনালী , ও ঘাড়ের রক্তবাহী নালী কেটে ফেলতে হবে ।
আপনি এই কথা বলতেই পারেন যে , একবারে মাথা কেটে ফেললে কষ্ট কম হবেই হবে । এইটা মুর্খ দের কথা ।
যাবীহ আরবী শব্দ , যার অর্থ যবেহকৃত পশু । পশুর গলানালী , শ্বাসনালী ও ঘাড়েরর দু’ পার্শের রক্তবাহী নালী কেটে পশুকে যবেহ করতে হবে । পেছনের দিকে মেরুদন্ডের মিলা কাটা যাবে না ।
3.রক্ত বের করে দিতে হবে ।
মাথা আলাদা করার আগে রক্ত সমপূর্ণ রূপে বের করে দিতে হবে । এটা এজন্য যে রক্তই হলো যাবতীয় জীবাণু , ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির আবাস । এজন্য ঘাড়ের শিরা কোন ক্রমেই কাটা যাবেনা । কারণ , হদযন্ত্রের দিকে থেকে যেসব শিরা-উপশিরা রয়েচে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হলে হদপিন্ডের স্পন্দন থেমে যেতে পারে । ফলে মাঝ পথে রক্ত আটকা পরে যেতে পারে ।
যাই হোক দেখলেন তো ?? এবার আসুন জেনে নেই উপকার কি কি এই ভাবে জবেহ করলে !
* রোগ জীবাণু ও ব্যকটেরিয়ার সহজ পরিবহন মাধ্যম হলো রক্ত:-
রক্ত হলো রোগজীবাণু , ব্যকটেরিয়া ও জৈব বিষ ইত্যাদির সহজ পরিবহন মাধ্যম । সুতরাং , ইসলামি যবেহ পদ্ধতি সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত কারণ , সেখানে আপনি ভালোভাবে রক্ত বের করে দিচ্ছেন ।
েএর ফলে ক্ষতিকারক বস্তু উপাদান যা আছে বের হয়ে যাচ্ছে ভালো ভাবেই ।
* গোস্ত দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভালো থাকে:-
ইসলামি যবেহের মাধ্যমে গোশত দীর্ঘসময় পর্যন্ত সতেজ থাকে । কারণ এ যবেহ পদ্ধতিতে অন্যান্য যবেহের পদ্ধতির চেয়ে গোশ্তের সাথে রক্তের পরিমান সবচেয়ে কম থাকে ।
*পশু ব্যথা অনুভব করেনা:-
অত্যান্ত দ্রুততার সাথে গলানালী গুলো কেটে দেয়ার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের সাথে রক্তবাহী শিরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । ফলে ব্যথার অনুভূতি আর থাকে না । কারন মস্তিষ্কের স্নায়ূগুলোতে রক্ত প্রবাহ-ই ব্যথার অনুভূতি সৃষ্টি করে । মৃত্যুর সময় পশু যে পা গুলো ছুড়ে লাফালাফি করে এবং ছটফট করে তা ব্যথার জন্য নয়; বরং তা পেশিগুলোর সংকোচন ও প্রসারনের কারনে গোশতের মধ্যে রক্তের ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে এবং দ্রুতগতিতে রক্ত পশুদেহের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ইসলাম সমপর্কে অমুসলিমদের কিছু সাধারণ প্রশ্নের জবাব
Page:37
Dr Jakir Naik
যাই হোক বন্ধুরা কি বুঝলেন ??? নাস্তিকরা বিরুধীতা করে কোন কারণ ছাড়া ! তার আরেকটা প্রমান দেই ???দিবো ?
তার আরেকটি প্রমান আমার গরুদরদী দাদাবাবুরা কখনোও শুয়োরদরদী হতে পারেনা । এত শুয়োর বলি দেওয়া হয় পাটা বলি হয় কোন কথা নেই । আরে ভাই ঐ গুলা না হয় পশু বাদ ই দিলাম । গুজরাটে এত মুসলমান কে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা হয় দাদাবাবুরা পরে আসে মুসলমান রা গো- হত্য করে কেন ।
আশা করি পশু জবাই নিয়ে যাদের চুলকানী বা পেটের ভাত হজম হচ্ছেনা তারা পোষ্ট টি পরে নিবেন নিলেই হজম শক্তি একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবে ।
এর পরেও যদি চুলকানী থাকে তাহলে ঐটা হলো গোরামী আর দালালী ।


0 Comments